পাহাড়ে ভূমি ধসের ঝূঁকি ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাঙামাটিতে সিইজিআইএস’র কর্মশালা


আলমগীর মানিক    |    ০৬:৩০ পিএম, ২০২৩-১০-১৬

পাহাড়ে ভূমি ধসের ঝূঁকি ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাঙামাটিতে সিইজিআইএস’র কর্মশালা

আলমগীর মানিক

পার্বত্য এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে সাবলিল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আগামী একশো বছরের ঝূঁকি ব্যবস্থাপনা কৌশল নির্ধারনের লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত গবেষণাকার্য পরিচালনা করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

এই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার গবেষণাকর্ম সম্পর্কে তিন পার্বত্য জেলার স্টেকহোল্ডারদের অবহিতকরণে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। সোমবার সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ট্রাস্টি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সার্ভিসেস “সিইজিআইএস” কর্তৃক আয়োজিত এই কর্মশালার উদ্বোধন করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।

রাঙামাটিস্থ পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত এই কর্মশালায়, প্রকল্প ব্যবস্থাপক রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ, সিইজিআইএস এর পরিচালক মোতালেব হোসেন সরকার, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান।

তিন পার্বত্য জেলার সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণসহ স্থানীয় হেডম্যান, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, ২০১৭ সালে তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসে ১৫৬ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান। ওই ঘটনায় ৪ জন সেনাসদস্যও প্রাণ হারান; তারা তখন সেখানে উদ্ধার কাজেই নিয়োজিত ছিলেন। এই ঘটনার পর সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে “সিইজিআইএস” কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ৪’শ টি স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের ৯০টি লোকেশনে জিওলজিক্যাল ল্যাব টেষ্ট এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং এপর্যন্ত ৬০টি লোকেশনে টেষ্ট করা হয়েছে।

কর্মশালায় মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই রাঙামাটিতে ২১২টি খাগড়াছড়িতে ৩৭২টি ও বান্দরবানে ৫০৬টি স্থানকে ঝূঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সিইজিআইএস পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় ধস নিয়ে একটি পূর্নাঙ্গ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করছে, যার মধ্যে অত্রাঞ্চলের জীববৈচিত্র্য, ভৌগলিকতা, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে কিভাবে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা যায় তার দিক নির্দেশনা থাকবে। মূলতঃ পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশীদার সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন পরিকল্পনায় এবং নকশাতে সহায়তা করবে তাদের তৈরি গবেষণা প্রতিবেদন।