লংগদুতে জনৈক মালেকের বিরুদ্ধে জমি বেদখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১২:২৮ এএম, ২০২৪-০৫-১৪

লংগদুতে জনৈক মালেকের বিরুদ্ধে জমি বেদখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

রাঙামাটির লংগদুতে আব্দুল মালেক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জমি বেদখলের অভিযোগ করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগী একটি পরিবার। জমি নিয়ে এ দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চরমে। বিরোধ ঘিরে উভয়ে মারমুখি অবস্থানে বলে জানা গেছে।

লংগদু উপজেলা সদরের তিনটিলার মৃত আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে মো. আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে তাদের পারিবারিক ভিটেবাড়ির জায়গা বেদখলে নিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন একই এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. মামুন ইসলাম।

এরআগে জমির দখল নিতে প্রতিপক্ষীয় আব্দুল মালেক লোকজন নিয়ে বেশ কয়েক দফায় তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা ও মারধর করেন বলেও অভিযোগ মামুন ইসলামের। সোমবার সকালে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। এ সময় তাদের পরিবারের নুরুন্নাহার, ফিরোজা বেগম, হালিমা বেগম, মো. জসিমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

তারা অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল মালেক একজন ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু। তিনি দলিলপত্র জালিয়াতি, মামলার রেকর্ডপত্র, চৌহাদ্দি পরিবর্তন করে আশেপাশে বহু মানুষের বেদখল করেছেন। আমাদের পারিবারিক সূত্রে ৩০ শতক জমির রেকর্ড জালিয়াতি ও চৌহাদ্দি পরিবর্তন করে বেদখলের চেষ্টায় মরিয়া। এজন্য আমাদের পরিবারের ওপর লোকজন নিয়ে হামলা করে মারধর করেন। তার কালোথাবা থেকে প্রতিকার পেতে ন্যায়বিচারের আশায় বিভিন্ন দরবার গিয়েও আমরা সুষ্ঠু সুরাহা পাচ্ছি না। 

মালেক লংগদুতে তার শ্বাশুড়ি খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা আনোয়ারা বেগমের নামে ৪৩৩ নম্বরের একটি হোল্ডিং বানিয়ে তা আবার স্ত্রী খাদিজার নামে পরিবর্তন করেছেন।তার বাবা আব্দুর রাজ্জাক মারা যান ১৯৯৭ সালে। কিন্তু ২০২৪ সালে তিনি নিরীহ মানুষের জায়গা দখল করে ৪৩৬ নম্বরের একটি হোল্ডিং বানিয়ে তার মৃত বাবার নামে তা লিখে নিয়েছেন।    

অপরপক্ষে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে মামুনের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করে উলটো তার ওপর হামলার অভিযোগ করেন আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, আমার অনেক জায়গা-জমি। তাহলে মানুষের জায়গা দখল করতে যাব কেন। প্রকৃতকপক্ষে লংগদুতে ওই মামুন ইসলাম পরিবারের কোনো জায়গা নেই। তারাই আমার জায়গা দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। এজন্য প্রায় সময় আমার ওপর হামলা করে থাকে তারা।