বেপরোয়া সিএনজি’র ধাক্কায় আহত সাংবাদিক মুমু; চালক আটক


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১০:২৬ পিএম, ২০২৪-০৫-১৩

বেপরোয়া সিএনজি’র ধাক্কায় আহত সাংবাদিক মুমু; চালক আটক

রাঙামাটির এক নারী সাংবাদিককে সিএনজি অটোরিক্সা দিয়ে চাপা দিয়ে পালানোর সময় চালকে হাতে নাতে আটক করেছে পুলিশ। তার নাম- মো. সফিউল ইসলাম (২৫)। পিতা- জয়নাল আবেদীন। সে শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার ২নং পাথর ঘাটা এলাকার ভাড়াটিয়া। সোমাবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাঙামাটি শিমুলতলী এলাকার পাসর্পোট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমাবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের শিমুলতলী এলাকার  রাঙামাটি পাসর্পোট অফিসের সামনে সিএনজি (অটোরিক্সা) (রাঙামাটি থ, ১১-০৫৯৯) গাড়ির চালক মো. সফিউল ইসলাম নিউজ২৪ টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ও রাঙামাটি জানালিস্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা জান্নাত মুমুর স্কুটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে মুমু স্কুটি থেকে ছিটকে পড়ে আহত হয়। একই সাথে তার স্কুটিও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

এসময় স্থানীয়রা আহত সাংবাদিককে উদ্ধার করে সিএনজি চালককে হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু সিএনজি চালক আরও কয়েকজন বখাটে ছেলে ডেকে আনে। তাদের সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। 

এ ব্যাপারে আহত সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু বলেন, গাড়িটা আমাকে কেন চাপা দিলো আমি বুঝতে পারিনি। আমি যে পাশে ছিলাম। সে পাশে ওই সিএনজি আসার কথা না। পুরোপুরি উল্টো দিক থেকে সে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে আসে। আমাকে চাপা দেন। আমার পা কেটে গেছে।

বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছি। আমার পা দিয়ে রক্ত পরতে দেখেও, সে আমাকে হাসপাতালে যাওয়ার জন্যও সহযোগিতা করেনি। উল্টা ক্ষমতা দেখিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদকে অবগত করি। তিনি সাথে সাথে ব্যবস্থা নেন। গাড়িসহ চালককে মানিকছড়ি চেকপোষ্টে আটক করে পুলিশ।

এ ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা বলেন, অদক্ষ চালক। আর অবৈধ সিএনজির বেপরোয়া চলাচলের কারণে রাঙামাটি শহরে প্রায় প্রতিদিন ঘটছে এমন ঘটনা। 
রাঙামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, আটক চালকের বিরুদ্ধে শাস্তি মুলক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।