“পাহাড়ে টেকসই উন্নয়ন ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে জরুরী কর্মব্যবস্থার দাবি”


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৩:৩৭ পিএম, ২০২৪-০২-২৭

“পাহাড়ে টেকসই উন্নয়ন ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে জরুরী কর্মব্যবস্থার দাবি”

যত্রতত্র বন উজার হওয়ার কারণে জলবায়ু পরিবর্তটা আগামী দিনের মানুষ, সভ্যতা ও পৃথিবীর জন্য হুমকির স্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নের জন্য ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় জরুরী কর্মব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। 

এজন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহযোগিতার মাধ্যমে বন উজার ও অবক্ষয় রোধের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে সম্মেলিত ভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটি বন সংরক্ষণের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির সাথে বন বিভাগ, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ফরিদ মিয়া, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক গঙ্গা প্রসাদ চাকমা প্রমুখ।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, দিন দিন বন উজার হওয়ার কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আমাদের নিত্য সঙ্গী। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্ত বিরূপ প্রভাব আমাদের দেশে অন্যান্য দেশসমূহের দৃশ্যমান। 

সেই প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে পরিবেশ সংরক্ষণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই আমাদের দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করতে হলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও প্রয়াস দরকার। নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই পরিবেশ-প্রকৃতি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

পরে রাঙ্গামাটি বন সংরক্ষক কার্যালয়ের সামনে পার্বত্য চট্টগ্রামের বন রক্ষা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি সংযোজনের উদ্বোধন করা হয়।