মধ্যরাতে রাঙামাটি বিএফডিসি প্রাঙ্গনে মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৩:০৭ এএম, ২০২৩-০৯-১৯

মধ্যরাতে রাঙামাটি বিএফডিসি প্রাঙ্গনে মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ

কাপ্তাই হ্রদ হতে আহরিত মাছ সরকারি রাজস্ব প্রদান করার পরেও রাতের বেলায় মাছভর্তি গাড়ি রাঙামাটিস্থ বিএফডিসি’র মৎস্য অবতরণ ঘাট হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাধা দেওয়ার অভিযোগে মধ্যরাতে হুলস্থুল কান্ড ঘটেছে রাঙামাটি বিএফডিসি প্রাঙ্গণে। এসময় মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত শতাধিক ব্যবসায়ি-শ্রমিক বিক্ষোভ বিএফডিসি প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করে ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে নানান হয়রানীর অভিযোগ তুলে ধরে। 

ক্ষোভকারিদের মধ্যে ব্যবসায়ি নেতা কবির আহাম্মদ জানান, আমাদের দাবির প্রেক্ষিতেই জেলা প্রশাসক কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরনে সময়সীমা বেধে দেন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। গত ১৫ই সেপ্টেম্বর এই সময়সীমা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে কাপ্তাই হ্রদে বর্তমানে পানির ¯্রােত ও কচুরিপানার কারনে দূর-দূরান্ত থেকে মাছ নিয়ে আসতে কিছুটা সময় দেরি হচ্ছে। পরবর্তীতে আহরিত মাছগুলো রাঙামাটিস্থ বিএফডিসি ঘাটে এনে আমরা সরকারী রয়েলটি প্রদান করে ঢাকা নেওয়ার জন্য গাড়ি ভর্তি করেছি।

রাতের মধ্যেই এই মাছ পৌছাতে না পারলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো এমন তথ্য জানিয়ে মাছভর্তি গাড়িটি ঢাকায় যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলে বিএফডিসির ব্যবস্থাপক নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপন করতে থাকে এবং গাড়িটি ছাড়তে বাধার প্রদান করেন। এতে করে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সরকারকে রয়েলটি দিয়ে বিএফডিসিতে ব্যবসা করতেছি। ব্যবসায়ীদের দাবী আহরণকৃত মাছগুলো পঁচে যাবে এবং নির্দিষ্ট দাম পাওয়া যাবে না। তারা বলেন- সরকারকে রাজস্ব দিয়ে মাছ পরিবহণ করি। কিন্তু রাজস্ব নেওয়ার পরও মাছ গুলো পরিবহণ করতে না দেওয়ায় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং মধ্যরাতে বিএফডিসির সামনে বিক্ষোভ করে।

এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন এই ব্যবস্থাপক আসার পর থেকেই আমাদের সাথে নানান ধরনের হয়রানীমূলক আচরণ করে আসছে। রাতে মাছ আহরণ বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে ব্যবসায়িরা বলেন, আগামীতে এই ধরনের আচরন করলে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে মাছ ফেলে দিয়ে ব্যবসায়িরা প্রতিবাদ জানাবে এবং ব্যবসা পরিচালনা বন্ধ রাখবে বলেও জানান মৎস্য ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি কবির আহাম্মদ। 

এদিকে রাঙামাটি বিএফডিসির ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়া ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ব্যবসায়িরা অন্যায় আচরণ করছেন এবং ব্যক্তি বিশেষের স্বার্থে এমন আচরণ করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছি আমি। নির্দিষ্ট্য সময়ের পরে মাছ নিয়ে আসার পরেও আমাকে যদি সময়মতো জানিয়ে রাখতো তাহলে আমি ব্যবস্থা নিতাম।

তারপরও আমি মাছ ভর্তি গাড়িটি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে যাওয়ার বলায় তারা এমনটা করছে। ব্যবস্থাপক বলেন, আমি একটি নির্দিষ্ট্য পোশাক পরেই এখানে দায়িত্বপালন করতে এসেছি। আমার পোশাককে সম্মান করতে হবে। কিন্তু তারা আমার উপর হামলা করতে এসেছে যাহা সিসিটিভিতে রেকর্ডও রয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপক।