মাটিরাঙ্গায় পাল্টাপাল্টি হামলা,ভাংচুর


আল মামুন    |    ০৬:৫৪ পিএম, ২০২৩-১১-০২

মাটিরাঙ্গায় পাল্টাপাল্টি হামলা,ভাংচুর

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় পৌর কাউন্সিলরসহ তিন যুবলীগ নেতার উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১ নভেম্বর ২০২৩) সন্ধ্যার দিকে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার পলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবীতে রাতে মাটিরাঙ্গা বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ। 

মিছিল চলাকালে বিক্ষুব্দরা মাটিরাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে দুবৃর্ত্তরা। ভাঙচুরের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেলেও দায় স্বীকার করেনি কেউ।  

এর আগে হামলার শিকার হয়ে মাটিরাঙ্গা পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৬নং পৌর কাউন্সিলর মো. শহীদুল ইসলাম সোহাগ জানান, সন্ধার পর আমতলী নিজস্ব বাগান বাড়ি থেকে মাটিরাঙ্গা ফেরার পথে পলাশপুর এলাকায় এলে ১০/১৫ লোক মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আক্রমন করে। এতে আমি সহ ৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সুমন দে ও সাধারন সম্পাদক হিমেল চাকমা গুরুতর আহত হন।

কাউন্সিলর সোহাগ আরো বলেন, সকালে আমার অফিসের সামনে আগুন দেয়া পিকেটারদের সনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করার বিষয় জানতে পেরে এমন হামলা করেছে অবরোধ কারিরা। আহত তিন যুবলীগ নেতা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন জানিয়েছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিল্টন ত্রিপুরা জানান, আহতরা শঙ্কামুক্ত। 

ভাংচুরের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মাটিরাঙ্গা পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহ জালাল কাজল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা,ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

এদিকে বিএনপির কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনাকে নাটক দাবি করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা বলেন, তথাকথিত দেশ বিরোধী অবরোধে জনগণের সাড়া না পেয়ে নিজেরাই তাদের দলীয় কার্যালয় নিজেরাই ভাংচুর করে আওয়ামীলীগের উপর দায় চাপানো এবং মামলার ইস্যু তৈরীর চেষ্টা করছে বিএনপি।

এ ঘটনায় মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।