রাঙামাটিতে একুশে পদক প্রাপ্ত আলোকচিত্রী পাভেল রহমানের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত


মোঃ সোহরাওয়াদ্দী সাব্বির    |    ০৭:১৮ পিএম, ২০২৩-০৭-৩১

রাঙামাটিতে একুশে পদক প্রাপ্ত আলোকচিত্রী পাভেল রহমানের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত

শোকের মাস আগস্ট কে  সামনে রেখে রাঙামাটিতে একুশে পদক প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিত্র সাংবাদিক পাভেল রহমানের বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর তোলা চিত্র নিয়ে একগুচ্ছ চিত্রকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। 

সোমবার বিকেলে রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ক্লাবের সভা কক্ষে এই চিত্রকর্মের প্রদর্শনীর  উদ্বোধন করেন,  রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।  

এসময় চিত্র সাংবাদিক পাভেল রহমানের চিত্রকর্ম গুলো পরিদর্শন করেন উদ্বোধক সহ আগত অতিথিরা।

চিত্রকর্ম উদ্বোধনের আগে  রাঙামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান। 

এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,  দৈনিক গিরিদপর্ন সম্পাদক আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহমেদ,  দি, ডেইলী পিপলস্ ভিউ'র সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর,  রাঙামাটি প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হোক,  রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা,  রাঙামাটি রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির  সহ জেলায় কর্মরত  গণমাধ্যম কর্মীরা। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান বলেন,  বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে এই ছবিগুলোর দেখা পেয়েছি।  বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কাছে থেকে যেভাবে কাজ করেছেন তিনি,  আমাদের ওনার কাছে থেকে অনেক কিছু শিখার আছে। দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করছেন তিনি নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজ তিনি একজন সফল সাংবাদিক।  আমাদের পাভেল রহমানের কাজের উপর অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করতে হবে।  লোভ সমভ্রম করে কাজ করলে সমাজ, দেশ, জাতি এগিয়ে যাবে।  

অনুষ্ঠানে পাভেল রহমান তাঁর ফটোসাংবাদিকতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবার এবং ৯০ ই গণআন্দোলনসহ নানা দিক তুলে ধরেন । তিনি বলেন, ফটোসাংবাদিকতার জীবনে আমি মানুষের আবেগ, অনুভূতি, জীবন -প্রকৃতির গল্প তুলে আনার চেষ্টা করেছি। দেশ বিদেশে কাজ করার সুযোগে আমি প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে বাস্তব রূপ তুলে আনার চেষ্টা করেছি।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গিরিদর্পন সম্পাদক একেএম মকছুদ আহমেদ বলেন, পাভেল রহমানের সাথে দীর্ঘদিনের পরিচিত আমাদের, বলা যায় আলোকচিত্রী  পাভেল রহমান, দি ডেইলী পিপলস্ ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর আমরা তিন জন মায়ের পেটের ভাই মতো। আমরা যখন কাজ করছি তখন বর্তমানের মতো সুযোগ সুবিধা ছিলো না। অনেক প্রতিকূলতা পার করতে হয়েছে। আমাদের কাজের মাধ্যমে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে৷ আজ শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে থাকতে পারছে। শান্তি চুক্তিতে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকায় এই চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছে। 

এসময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ মুক্তিযুদ্ধের সময়কালে পাভেল রহমান সাহসীকতার সহিত ফটোসাংবাদিকতা করেছেন। ক্যামরা হাতে কত দিন, কত রাত, কত সংকটময় সময়, কত অনিশ্চয়তা কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে ছবি তুলে দেশ ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন পাভেল রহমান। যার মাধ্যমে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছে বিশ্ব।

প্রর্দশনীতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ৩০টি আলোকচিত্র স্থান পায়।