রাঙামাটিতে যত্রতত্র গাড়ি পাকিং নিয়ে আরটিসি সভায় ক্ষোভ!


মাসুদ পারভেজ নির্জন    |    ০৫:০৮ পিএম, ২০২০-১২-০৮

রাঙামাটিতে যত্রতত্র গাড়ি পাকিং নিয়ে আরটিসি সভায় ক্ষোভ!

রাঙামাটি শহরে আইনের তোয়াক্কা না করে এবং অসচেতনভাবে যত্রতত্র বাস এবং ট্রাক পাকিং করে রাখছে কিছু খামখেয়ালী চালক।শহরের বিভিন্ন  বাজারগুলোতে যেভাবে সরকারী অফিস  চলাকালীন সময়ে দিনের বেলায় ট্রাক-বাস পাকিং করা হচ্ছে তেমনিভাবে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক ফিসারী বাধটির উপরেও পাকিং করা হচ্ছে বাস ও ট্রাক।দিনের পর দিন এধরনের অব্যবস্থাপনা চলতে থাকায় বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সুশীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ।

মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিআরটিএ রাঙামাটি সার্কেলের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে  রাঙমাটি জেলা  আঞ্চলিক পরিবহন কমিটির সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ।সভায় সড়ক পরিবহন ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,ব্যবসায়ীক নেতৃবৃন্দ,সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকবৃন্দরা অংশগ্রহন করেন।
সভায় নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করে বলেন,দিনের পর দিন শহরের যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং  করে রাখছে এবং ফিসারী বাধঁটিতেও গাড়ি পাকিংয়ের ফলে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে।যেকোন সময় বাধঁটি ধসে যেতে পারে এবং সামনের বর্ষার মৌসুমে বাধঁটি ধসে যেতে পারে বলে আশংকা করা হয়।বিষয়টি নিয়ে সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। 

জেলা প্রশাসক বলেন,এটি অন্তত দুঃখজনক বারংবার সভা আহবান করে এ ধরনের নিদের্শনা দিয়ে আসলেও অনেকসময় এটি মানা হচ্ছেনা।জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ এই ধরনের কার্যক্রম কি নিয়ন্ত্রন করতে পারে? এই ধরনের প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন,সুশীল সমাজ ও স্থানীয় জনসাধারনকে এগিয়ে আসতে হবে।পর্যটকদের কাছে নিজেদের এলাকার সৌন্দয্য রক্ষা করতে হলে জনসাধারনকে এই নিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। 

সভা শেষে বাস ও ট্রাক ড্রাইভারদের যত্রতত্র পাকিংয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা জানায়,বাস-ট্রাক পাকিংয়ের নির্ধারিত স্থান না থাকার ফলে যত্রতত্র পাকিং করতে হচ্ছে।