বান্দরবানে থানচিতে আতঙ্কের নাম ম্যালেরিয়া


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৯:৩৬ পিএম, ২০২৩-০৭-০৯

বান্দরবানে থানচিতে আতঙ্কের নাম ম্যালেরিয়া

বর্ষা শুরু সাথে সাথে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে থানচিতে আতঙ্কের নাম ম্যালেরিয়া। দিন দিন রোগী সংখ্যা বাড়ছে  এ সংখ্যা গত বছরে চেয়ে তুলনামূলক বেশী। জুন জুলাই দুই মাসের  ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা গেচ্ছে ১ জন শিক্ষার্থী ও জুম ঘরে চিকিৎসা অভাবে ১ জন। ২৪ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থা রেমাক্রী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে খ্যাইসাপ্রু পাড়া নিবাসী  অজমনি ত্রিপুরা মেয়ে প্রীতি ত্রিপুরা ১৬, ২রা জুলাই একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে চাইশৈউ পাড়া নিবাসী মংহ্লাচিং মারমা মেয়ে উম্যাচিং মারমা ৮, তারা সকলের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানান।
২০২২ সালে ২৩ মে স্বাস্থ্য বিভাগ ও ব্র্যাকের সমন্বয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঔ সেমিনারের যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছিলেন থানচি উপজেলা ম্যালেরিয়া উচ্চ ঝুকিতে অবস্থান করছে।
ম্যালেরিয়া নির্মূলে গনসচেতনতা বাড়ানো তাগিদ দিয়ে ৪টি ইউনিয়নের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস অর্থাৎ চলতি মৌসুমে অবশ্যই কীটনাষক মিশ্রিত মশারী বিতরন ও  যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিৎ করন, ময়লা অবর্জনা পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকার, প্রতি মাসের দুই টি হেল্থ ক্যাম্প বাধ্যতামূলক সহ আগামি ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া নির্মূল করতে বর্তমান সরকার ঘোষনা করা হয়েছে সে লক্ষ্যে বাস্তবায়নের কাজ করবেন বলে সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছিল।
শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরেজমিনে গেলে  কমপ্লেক্স এর ৫০ শয্যা ওয়ার্ড নামে থাকলে ও এখনও ৩১ শয্যা ২ টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৭ জন রোগী ও স্বজনদের দেখা যায়, এ ছাড়া কোন বেধ/সিট নেই সেখানে যোগাযোগ করা হলে ডিউটিরত সহকারী নার্স মাওয়াংশৈ মারমা ও সিনিয়র নার্স উর্মি তংচংঙ্গা জানান,জুলাই মাসের ১ তারিখ  হতে আজ ৬ তারিখ পর্যন্ত ম্যালেরিয়া ১১ জন, শুক্রবার এক দিনের ৯ জন আজ শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১১জন মোট ২০ জন। তৎ মধ্যে  ১জনকে  উন্নত চিকিৎসার জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। কমপ্লেক্সের ৫০ শয্যা বেধ/ সিট উন্নীত হলেও  ৩১ শয্যা পর্যন্ত চালু আছে। ম্যালেরিয়া রোগী নাইন্দারী পাড়ার প্রধান চাইশৈপ্রু মারমা কারবারী জানান, ম্যালেরিয়া যারে দরে মে জানে কত কস্ট, পুরো শরীর কাপে ঘুমানো যায়না অত্র কমপ্লেক্সের বেধ/সিট গুলি খুবই ময়লা অবর্জনা তেমন ভালো না  তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো থাকলেও খানা বিনা তেমন নয়। আমি দুইদিন দরে দেখছি ম্যালেরিয়া বা জ্বরে অনেকে ভর্তি না হয়ে ঔষুধ নিয়ে চলে গেচ্ছে বাড়ীতে বেধ বা সিটে অভাবের কারনে। 
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, চলতি মৌসুম শুরুতে আশংঙ্খাজনক হাড়ে ম্যালেরিয়া রোগী বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধ্যমতে তাদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। পাহাড়ে আবহাওয়া পরিবর্তনের মশা উপদ্রভ বেশী ফলে ভাইরা জ্বর, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েট হওয়া পাহাড়ে স্বাভাবিক। সময়ের প্রয়োজনে  ঘরে বিশ্রামে থাকার দিনে ও রাতে মশারী ব্যবহার করার, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারী টয়লেট ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার পাশাপাশি তরলজাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ফলমূল খাওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরী।
যোগাযোগ করা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, বিগত বছরের তুলনা ম্যালেরিয়া রোগী বাড়ছে তবে ডায়রিয়া রোগী কমছে। এ পাহাড়ে ম্যালেরিয়া (আনকপ্লেক্যাটেট) অসম্পুর্ন ম্যালেরিয়া সময় মতো খাওয়া ঔষধ সেবন করলে সুস্থ হয়। ডিগিইয়ার ম্যালেরিয়া রোগীকে অবশ্যই স্যালাইনের মাধ্যমে ইনজেকশানের চিকিৎসা করতে সুযোগ পেলে রোগীকে সুস্থ করার সম্ভব। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে প্রতিটি এলাকা ঔষধ সরবরাহ করেছি। এ ছাড়াও  ঝুকিপুর্ন এলাকার বিজিবির মাধ্যমে ও পর্যাপ্ত পরিমান ঔষধ সরবরাহ করে থাকি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি হলে বিনামূল্যে ঔষধসহ চিকিৎসা দিয়ে থাকি।