পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝিঁ হতে চান যারা


ইকবাল হোসেন    |    ১২:১৫ এএম, ২০২০-১২-১০

পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝিঁ হতে চান যারা

আসন্ন রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে ১১জন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। তারা হলেন পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরী, সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সোলায়মান চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. আবু সৈয়দ, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. মুজিবুর রহমান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান মহসীন রানা, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মঈনুদ্দীন সেলিম, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল, জাতীয় শ্রমিকলীগ রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুল আলম, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন (সেলিম), জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক অমর কুমার দে।
 
আকবর হোসেন চৌধুরীঃ
আসন্ন পৌর নির্বাচন বিষয়ে বর্তমান পৌর মেয়র ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আকবর হোসেন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি পৌরসভাকে নিয়ে যে স্বপ্ন গুলো নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম তার জন্য ৫বছর খুবই কম সময়। এছাড়া ২০১৭ সালে পার্বত্যঞ্চলে ঘটে যাওয়া স্বরণাতীত কালের সর্ববৃহৎ দুর্যোগ পাহাড়ধ্বসের ফলে পৌর এলাকায় অবকাঠামোগত যেসকল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা সংস্কার করতেও আমার দায়িত্বপালন কালীন দীর্ঘ সময় ব্যয় হযেছে। এদিকে বর্তমান বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ফলে সারা বিশ্ব যেমন থমকে আছে তেমনি আমাদেরও একই অবস্থা এরফলে আমি এখনও অনেক কাজ বাস্তবায়ন করতে পারিনি। তাই দল যদি সার্বিক দিক বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে দলকে আবারো পৌরসভার সিট উপহার দেওয়ার পাশাপাশি পৌর বাসীর সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে পর্যটন নগরী হিসেবে পৌরবাসীকে একটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক পৌরসভা উপহার দিব।

 
রাজনৈতিক জীবনঃ 
আকবর হোসেন চৌধুরী তার রাজনৈতিক জীবনে রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতি শুরু করেন। এরপর ধাপে ধাপে ছাত্রলীগের কালিন্দিপুর আঞ্চলিক শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর বণরূপা ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, শহর শাখা ছাত্রলীগের সদস্য, রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করার পর তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 
 
অরাজনৈতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সস্পৃক্ততাঃ
রাজনীতির পাশাপাশি আকবর হোসেন চৌধুরী বিভিন্ন অরাজনৈতিক জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং আছেন। তিনি রোটার‌্যাক্ট ক্লাব অব রাঙামাটির সাবেক প্রেসিন্ডেন্ট, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সাবেক সেক্রেটারী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি, এফপিএবি রাঙামাটি জেলা শাখার আজীবন সদস্য, কার্যনির্বাহী সদস্য রাঙামাটি পাবলিক কলেজ, আজীবন দাতা সদস্য রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য। এছাড়াও তিনি ১০টিরও অধিক সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন। 

হাবিবুর রহমান হাবিবঃ
রাঙাামটি পৌসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব’র সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিতে আমি ইচ্ছুক তাই আমি দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছি।৬১  দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচন করবো। এছাড়া দল যাকেই মনোনয়ন দিবে আমি তার সাথে কাজ করবো দলের বাহিরে যাব না। 

 
রাজনীতি, সামাজিক, ধর্মীয় ও ক্রীড়া সংগঠনে সম্পৃক্ততাঃ
১৯৬৯ সালের ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে তিনি ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তখন কুমিল্লা বি-বাড়িয়া রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে ফুল দিয়ে বরণ করেন। 

 
১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম সিটি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। স্বাধীনতার পরও তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। এরপর ১৯৯২ সালে তিনি রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। একই বছর তিনি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৯৮ সালে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর ১৯৯৯ ও ২০৪৪ সালের পৌরসভা নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে অংশ নেন এবং পরপর দুইবারই বিজয়ী হন। 
 
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি জেলা ইউনিটের আজীবন সদস্য, এফপিএবি রাঙামাটি জেলার আজীবন সদস্য অভিলাষ ক্রিকেক ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, তবলছড়ি ব্যবসায় কল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ এর উপদেষ্টা, তবলছড়ি জামে মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপদেষ্টা। 
 
হাজী সোলায়মান চৌধুরীঃ
রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সোলায়মান চৌধুরীর সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশি, তাই দলের কাছে আমি মনোনয়ন চেয়েছি। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় জেলা রাঙামাটি এর ২৯৯নং আসনের বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন মাননীয় সাংসদ জননেতা দীপংকর তালুকদার মহোদয় আমাকে যোগ্য মনে করে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়। 
 
তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিব এবং জেতার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আর দল যদি আমাকে যোগ্য মনে না করে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়, আমি তার সাথে কাজ করব কোনভাবেই আমি দলের বাহিরে যাব না। 
তিনি আরো বলেন- আমি পৌর আওয়ামিলীগের সভাপতি হওয়ার আগেও ২৪ ঘন্টা আমার বাসার দরজা জনগণের জন্য খোলা ছিলো, আছে এবং থাকবে। পরিশেষে জনগণ চাইলে আমি নির্বাচিত হব, আর জননেতা দীপংকর তালুকদার ও দলীয় নেতৃবৃন্দরা চাইলে আমি মনোনয়ন পাব।

 
রাজনৈতিক জীবনে তিনি পৌর আওয়ামিলীগের ৩বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এবং বর্তমানেও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
 
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি- রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ ৩বার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এবং বর্তমানেও দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি জেলা ইউনিটের আজীবন সদস্য, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য, জবল-ই-নূর চক্ষু চিকিৎসালয়ের পরিচালক, বনরূপা জামে মসজিদের সাধারণ সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত আছেন।
 
মো. আবু সৈয়দ
আসন্ন পৌর নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙামাটি পৌর শাখার সহ-সভাপতি মো. আবু সৈয়দ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- দল যদি ত্যাগী নেতাদের প্রাধান্য দিয়ে আমাকে মনোনয়ন দেয় আর তৃণমূল নেতাকর্মী ও পৌরবাসী যদি আন্তরিকভাবে আমাকে সহযোগিতা করেন তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিব। আর দল যাকেই মনোনয়ন দিক না কেনদলের প্রতি আস্থাশীল থেকে দলের বৃহৎ স্বার্থে আমি তার সাথে কাজ করবো। এক্ষত্রে দলের বাহিরে যাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। 

 
রাজনৈতিক ও চাকুরী জীবন এবং বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ততাঃ
১৯৮৬ সালে বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণকালীন অবস্থায় তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। এরপর ধাপে ধাপে ১৯৮৮-তে বৃহত্তর রিজার্ভ বাজার ওয়ার্ড কমিটিতে সম্পৃক্ত হন, রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের ১৯৮৯-৯০ কমিটিতে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন (এসময় তিনি সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন), ১৯৯১-৯২ সালে তিনি রাঙাামটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সাফল্যর সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি বিভিন্ন মামলা হামলার শিকার হন এবং মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তিও হয়েছিলেন। 
 
১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারত প্রত্যাগত স্বরণার্থী পূনর্বাসন বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান দিপংকর তালুকদার এমপি’র (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সহিত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপরও তিনি দীর্ঘদিন দীপংকর তালুকদার এমপি’র সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অংশ নিয়েছেন। এদিকে তিনি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন, তারপর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙামাটি পৌর শাখার যুগ্ম-সম্পাদক হিসেবে ২০১২ সাল থেকে ২০১৯সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০১৯সাল হতে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙামাটি পৌর শাখার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 
 
এখানে উল্লেখ্য যে, মো. আবু সৈয়দ যখন কলেজ ছাত্রলীগে দায়িত্ব পালন করেছেন তখন তিনি বেশ কয়েকটি টিউশনি করতেন। টিউশনি হতে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের রাজনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এছাড়াও ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী তৎকালীন সরকার কর্তৃক গুম, হত্যা, নির্যাতন, ধরপাকড় ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ দীপংকর তালুকদার’র নেতৃত্বে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কমৃসূচীতে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। 
 
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী সমিতি, সামাজিক, ক্রীড়া ধর্মীয় ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন- তিনি বর্তমানে বৃহত্তর বনরূপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাঙামাটি জেলা শাখার সদস্য সচিব, কাঁঠালতলী জামে মসজিদ, বনরূপা জামে মসজিদ, শান্তিনগর জামে মসজিদ, উপজেলা জামে মসজিদ, হাজী ইউসুফ আলী জামে মসজিদ ভেদভেদী এর পরিচালনা কমিটির সাথে সম্পৃক্ত আছেন, বনরূপা কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের মধ্যে তিনি ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফর ইউনিটি ট্রাস্ট অ্যান্ড হেল্প (ইয়ুথ) এর উপদেষ্টা, ইয়ুথ মোস্তফা কামাল ফাউন্ডেশন’র উপদেষ্টা, হিলফুল ফুজুল সংগঠন, ছাত্রসংঘ রিজার্ভবাজার, উদ্ভাস রাঙামাটির উপদেষ্টা, প্রতিভা ক্রিকেট ক্লাবের উপদেষ্টা, গ্লোবাল ভিলেজের সাথে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কাব ও স্কাউটিং এর সাথে জড়িত ছিলেন, ছাত্র জীবনে দৌড়, হাই জাম্প, লং জাম্পে তিনি আঞ্চলিক পর্যায় পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। একসময় তিনি ভাল ফুটবল খেলতেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আছেন। 
 
অপরদিকে সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগে তিনি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অসহায়দের গোপনে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনের লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও দলমতের সমন্বয়ে এসএসসি-৮৯ ব্যাচের মাধ্যমে “স্বজন সম্মিলন পরিষদ” নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠনের সভাপতি পদে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য যে, এই পরিষদের কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমানে পার্বত্যঞ্চলে অনেক এসএসসি ব্যাচের সৃষ্টি হয়। যা অত্র এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সহায়ক হিসেবে প্রশংসার দাবিদার।
 
মো. মুজিবুর রহমানঃ
দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান’র সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় এবং আমি মেয়র নির্বাচিত হই তাহলে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে রাঙামাটি পৌরসভাকে সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলব।

 
রাজনৈতিক পরিচিতিঃ 
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা, জেলা যুবলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক যু¥-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য হিসেবে হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

 
স্বেচ্ছাসেবী, সামাজিক, ব্যাবসায়ী ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততাঃ
এফপিএবি রাঙামাটি জেলা শাখার ২বার নির্বাচিত সভাপতি, হ্যাচারী এলাকা জামে মসজিদ ও ফোরকানিয়া মাদ্রাসার সভাপতি, চেম্বার অব কমার্স রাঙামাটির সদস্য, প্রত্যাশা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংসদের সভাপতি, রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য, স্টেশন ক্লাব রাঙামাটি (অফিসার ক্লাব) এর সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি জেলা ইউনিটের আজীবন সদস্য, রাঙামাটি জেলা খেলোয়ার এসাসিয়েশনের সহ-সভাপতি, বাঙ্গালী ঠিকাদার সমবায় সমিতির সদস্য, রাঙামাটি ফার্নিচার সমিতির সদস্য। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সংগঠনে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করছেন।    

 
মোঃ মনিরুজ্জামান মহসীন রানাঃ
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন রানা আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এবিষয়ে তিনি বলেন আমি ১৯৯৬ সাল থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছি। পদের লোভে আমি রাজনীতি করিনি তাই আমি কোন পদও নেইনি। আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় বিএনপি কর্তৃক বিভিন্ন সময় হামলা মামলার শিকার হয়েছি কিন্তু দল ছেড়ে যাইনি। তাই দল যদি আমাকে মনোয়ন দেয় তাহলে আমি জেলা পরিষদের দায়িত্ব যেভাবে সততার সহিত পালন করেছি পৌরসভার দায়িত্বও আমি সেভাবে পালন করবো এবং আইন অনুযায়ী পৌরবাসীর প্রাপ্য সেবা শতভাগ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। 

 
রাজনৈতিক মামলাঃ বিএনপি-জামাত জোট কর্তৃক রাজনৈতিক হয়রানিমূলক জি.আর মামলা নং-১৯০/৯৮ (সদর) ও জি.আর মামলা নং ৩৮১/৯৭।
 
সাংগঠনিক দক্ষতাঃ রাজনীতির পাশাপাশি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন, ব্যবসায়িক সংগঠন ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে নেতৃত্ব প্রদান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ক্রীড়া সংগঠনসহ বেসরকারি সংস্থা পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। 

মঈনুদ্দীন সেলিমঃ
জন্মসূত্রে আওয়ামী পরিবারের সন্তান ও পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহণ) সংস্থা রাঙামাটি জেলা শাখার চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন সেলিম’র সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আসন্ন পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দল থেকে মনোনয়ন চেয়েছি । দল যদি আমাকে মনোয়ন দেয় তাহলে আমি নির্বাচনে অংশ নিব। আর দল যাকেই মনোনয়ন দিবে আমি তার সাথে কাজ করব দলের বাহিরে যাব না। 

 
রাজনীতি, সামাজিক, ধর্মীয় ও ক্রীড়া সংগঠনে সম্পৃক্ততাঃ
মঈনুদ্দীন সেলিম রাঙামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। এরপর ধাপে ধাপে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি, বর্তমানে তিনি পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি জেলা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন কমিটির কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯০ সালের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তি সময়ে শতস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিয়েছেন। তিনি ও তার পরিবার বিএনপির নানা হামলা মালার শিকার হয়েছেনে কিন্তু দল ত্যাগ করেননি।

 
রাজনীতির পাশাপাশি ধর্মীয়, সামাজিক, ক্রীড়া ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি হাজী ইউসুফ আলী তৈয়্যাবিয়া জামে মসজিদের সভাপতি, রাঙামাটি বাস মিনিবাস মালিক গ্রুপের সভাপতি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সদস্য, হাজী ইউসুফ আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি, রাইজিং স্টার ক্লাবের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 
 
এদিকে করোনা মহামারীর ফলে সরকারের অঘোষিত লকডাউন চলাকালীন সময়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জনের অধিক অসহায়দের ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে প্রায় আড়াই হাজার অসহায়দের ত্রাণ বিতরণ করেছেন। গত দুই ঈদে হাজারের অধিক পরিবারকে ঈদ উপহার দিয়েছেন।     
 
নুর মোহাম্মদ কাজলঃ
এবিষয়ে নুর মোহাম্মদ কাজলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- দল যদি আমাকে মনোনয় দেয় তাহলে নির্বাচনে অংশ নিব এবং বিজয়ী হলে পাহাড়-লেকের সমন্বয়ে গঠিত রাঙামাটি পৌর এলাকাকে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পর্যটন বান্ধব শহর হিসেবে গড়ে তুলব।

 
রাজনৈতিক জীবনঃ 
১৯৮৮-৮৯ সাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বৃহত্তর রিজার্ভবাজার আঞ্চলিক শাখা, ১৯৯০ সাল শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯১-৯২ শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৪-৯৮ রাঙামাটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ২০০০ সালে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক, ২০০৩-২০১২ রাঙামাটি জেলা আওয়ামী যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক, ২০১২ হতে বর্তমান রাঙামাটি জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

 
অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে সম্পৃক্ততাঃ
তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করছেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাঙামাটি জেলা ইউনিটের আজীবন সদস্য, বাঙ্গালী ঠিকাদার সমিতির সদস্য, চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সদস্য, রাঙামাটি ব্লাড ব্যাংক’র উপদেষ্টা, নবীন সংঘের সহ-সভাপতি, ফরিদ আহমদ শাহ ফোরকানিয়া মাদ্রাসা ও এবাদতষানার যুগ্ম-সম্পাদক, সানরাইজ ক্লাবের উপদেষ্টা, আইডিয়াল স্কুলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনরত আছেন। 

 
মো. শামছুল আলমঃ
এবিষয়ে জাতীয় শ্রমিকলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল আলম’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ৩ দশক ধরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের দিকনির্দেশনায় জেলা শ্রমিকলীগের বিভিন্ন পদে পালন করে আসছি। রাঙামাটি পৌরসভার ভোটার ও শ্রমজীবি মানুষের প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে আমি আগামী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আবেদন করছি। মনোনয়ন পেলে আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলী এবং জাতীয় শ্রমিকলীগ’র সুনাম অক্ষুন্ন রেখে বিজয়ী হতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। 

 
রাজনৈতিক পরিচিতিঃ
১৯৯৯-২০০৫ইং জাতীয় শ্রমিকলীগ রাঙামাটি জেলা শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০০৬-২০১২ইং সাধারণ সম্পাদক, ২০১৩-২০২০ (চলমান) সাধারণ সম্পাদক।

 
অরাজনৈতিক সংগঠনে সম্পৃক্ততাঃ
সভাপতি, শিমুলতলী জামে মসজিদের, কার্যকরী সভাপতি ইফসুফ আলী তৈয়্যাবিয়া জামে মসজিদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তিন পার্বত্য জেলা শ্রমিক কর্মচারী ঐক্যজোট।  

 
মোঃ জাকির হোসেন সেলিমঃ
রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন (সেলিম) এর সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দল যদি আমাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয় তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত রেখে পৌরবাসীর সুখ-দুঃখের সাথী হয়ে পৌরবাসীর মৌলিক অধিকার এবং পৌর এলাকাকে পর্যটন শহরের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে করে পৌরবাসীএর সুফল ভোগ করতে পারে। পাশাপাশি পৌরবাসীর মৌলিক চাহদা গুলোর মধ্যে চিকিৎসা ও শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমার কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য আমি পৌরবাসীকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাব। 

 
রাজনৈতিক পরিচিতিঃ 
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, রাঙামাটি জেলা শাখার উপ-দপ্তর সম্পাদক। অতীতে তিনি- ১৯৯৭ সালে সদও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, ২০০৪ সাালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ২০০৯ সালে নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০১৪ এ রাঙামাটি সদা উপজেলায় আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন।  

 
অমর কুমার দেঃ
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাঙামাটি জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক অমর কুমার দে’র সাথে আসন্ন পৌর নির্বাচন বিষয়ে যোগাযোগ কারা হলে তিনি বলেন দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আর আমি নির্বাচনে বিজয়ী হলে পৌরবাসীকে যেভাবে শতভাগ সেবা প্রদান করা সম্ভব আমি সেভাবে কাজ করব। 

 
রাজনৈতিক ও অন্যান্য সম্পৃক্ততাঃ 
১৯৭৯ইং সালে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামীলীগের রাজনীতি শুরু করেন। এরপর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি, ১৯৯৫ইং থেকে ২০০২ইং পর্যন্ত রাঙামাটি শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক। এছাড়াও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ রাঙামাটি জেলার ১৫বছর যাবৎ সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙামাটি জেলার সভাপতি হিসেবে ৯বছর যাবৎ দায়িত্ব পালন করছেন।