নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৬:৫৩ পিএম, ২০২২-০৭-১৫
চট্টগ্রাম নগরির আগ্রাবাদ থেকে মোঃ রাশেদ সহ একই পরিবারের ২০ (বিশ) জনের একটি দল রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাঙ্গামাটি ভ্রমনে যান।
শুরুতে দলের সদস্যরা কাপ্তাই এসে কাপ্তাই এর অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করেন। পরে পলওয়েল পার্ক অ্যান্ড কটেজ এর অনিন্দ্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে কাপ্তাই হতে পলওয়েল পার্ক অ্যান্ড কটেজ এর উদ্দেশ্যে বিকালে বোটে রওনা দেন।
কাপ্তাই লেকের মাঝ পথেই ঘটে বিপত্তি, বোটের তেল ফুরিয়ে গেলে লেকের মাঝ খানে বোট বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে কাপ্তাই লেকের উত্তাল ঢেউ, বাতাসে বোট ডুবে যাওয়া অবস্থা। সেই সাথে বৃষ্টি ও দিনের আলো শেষে ঘুটঘুটে অন্ধকারের হাতছানি। বোট চালক ও আটকে পড়া পর্যটকরা নিজেদের উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় কল দিয়ে কোন প্রকার সহযোগিতা না পেয়ে প্রাণের ভয়ে সকল পর্যটক কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
আটকে পড়া বোটের পাশ দিয়ে অন্য পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া অনেক বোটকে তাদের উদ্ধারের জন্য কান্নাকাটি করলেও কেউ তাদের উদ্ধারে সহযোগিতা করেননি।
এদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসতে দেখে পর্যটকদের মনে ভয় ও আতঙ্ক দেখা দেয়। এরূপ নানাবিদ চিন্তা থেকে উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে পর্যটক দল। উপায়ন্তর না দেখে অবশেষে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে কল দেয় আটকে পড়া পর্যটক মোঃ রাশেদ। পর্যটকের কল পেয়ে পুলিশ কন্ট্রোল রুম দ্রুত বিষয়টি রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মীর মোদ্দাছ্ছের হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করেন।
পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মাহমুদা বেগম এর সার্বিক তত্ত্ববধানে ঘটনাস্থলের কাছে রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়ে। পর্যটকরা সঠিক লোকেশন দিতে না পারায় কাপ্তাই লেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে পেদা টিং টিং এলাকা থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের খুঁজে পান পুলিশ। সন্ধ্যা সাতটার দিকে পর্যটকদের উদ্ধার করে পলওয়েল পার্কে নিয়ে আসা হয়। এসময় পর্যটকরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করেন। এ যেন স্বয়ং মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছেন মাত্র।
উদ্ধার হওয়া পর্যটক মোঃ রাশেদ বলেন, লেকের মাঝখানে আমাদের বোট যখন অকেজো হয়ে যায় তখন আমরা অনেকটা ভীত হয়ে পড়ি। এরমধ্যে বাতাস, ডেউ আমাদের মনোবল ভেঙে দেয়। আমরা যেন মৃত্যুর মাঝ পথে রয়েছি। আমাদের পাশ দিয়ে অনেক পর্যটক বোট গেলেও আমাদের কান্না তাদের মন গলাতে পারেনি।
আমরা তাদের বলেছি- “ভাই আমাদের না বাঁচান, শুধু আমাদের বাচ্চা গুলোকে নিয়ে যান, কিন্তু আমাদের অনুরোধে কেউ সাড়া দেয়নি।”
অবশেষে পুলিশ আমাদের মৃত্যুর হাত থেকে উদ্ধার করে বাঁচিয়েছেন। আমরা পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার অভিযানের সহমর্মিতা দেখে আপ্লুত। আমরা রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক প্রকৃতির বেরসিক আচরনের মধ্যদিয়ে বৃষ্টিকে সঙ্গী করে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির চার উপ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথাগত শাসন ব্যবস্থায় নারী নেতৃত্ব শূন্য ছিল। সে সময় কোন নারী কারবারী, নারী ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটির লংগদু উপজেলাধীন গুলশাখালি ইউনিয়নের ২নং ওয়াডর্স্থ রাজনগর গ্রামে স্থানীয় এক দুই শিশু শি...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা দিঘিনালা সড়কের দুই টিলা এলাকায় পাহাড় ধসে সারাদেশের সাথে ব...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ও ডায়াবেটিস জটিলতায় ভুগে অবশেষে মারা গেলেন রাঙামাটির লংগদু উপজেলা প্রেসক্লা...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited