প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত বাড়ি পাবে রাঙামাটির ২৫’শ পরিবার:২০জানুয়ারী চাবি হস্তান্তর শুরু


আলমগীর মানিক    |    ০৩:৪৬ পিএম, ২০২১-০১-১০

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত বাড়ি পাবে রাঙামাটির ২৫’শ পরিবার:২০জানুয়ারী চাবি হস্তান্তর শুরু

রাঙামাটি জেলার আড়াই হাজার পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বিশেষ ঘর নির্মাণ করে দিবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। তারই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যেই রাঙামাটির ৭ উপজেলায় ৭০৬টি ঘর নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ২০শে জানুয়ারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ২৬৮টি ঘর সংশ্লিষ্ট্য দরিদ্র পরিবারগুলোকে বর্গ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। রোববার রাঙামাটিতে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এই তথ্য জানিয়েছেন। 

বেলা সাড়ে দশটা থেকে দুপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া এই সভায় রাঙামাটির নবাগত পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আল-মামুন মিয়া, রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবু তালেব চৌধুরী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানসহ সরকারী প্রতিষ্ঠানসমুহের প্রতিনিধি,সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দসহ গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, সভায় রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মানিকের প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে আজ ১০ই জানুয়ারী রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের ৭ম বছরে পদার্পনকে কেন্দ্র এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠাকালীন আন্দোলনের সময় বিগত ২০১৫ সালের ১০ই জানুয়ারীর সহিংস ঘটনায় উগ্রবাদিদের হাতে নিহত যুবক মনির হোসেন নির্মমভাবে নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে আইনশৃঙ্খলা সভায় শোক প্রস্তাব গ্রহণপূর্বক রেজুলেশনে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ।

এসময় তিনি বলেন, আসলে বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। আর এটা রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের স্মরণে রাখা উচিত ছিলো। কেন তারা মনিরের বিষয়টি নিয়ে এবং মেডিকেলের বর্ষপূর্তিতে কোনো পদক্ষেপ নিলোনা সেটি তারাই বলতে পারবে। 

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারী রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ চালুর আনন্দ শোভাযাত্রায় উগ্রবাদি উপজাতিয় কিছু সন্ত্রাসীর হামলায় নির্মমভাবে খুন হয় মনির হোসেন নামের টগবগে এক যুবক। তার আত্মত্যাগের বিনিময়ে রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হলেও দীর্ঘ বছরেও মনির হত্যার বিচার পায়নি তার পরিবার। তার সে অবদানের কথা আজ কারো মনে নেই। মনিরের পরিবারকেও দেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে কোন সুযোগ সুবিধা।

মনিরের অবদানকে স্মরনিয় করে রাখার জন্য মেডিকেল কলেজের ছাত্রবাসকে শহীদ মনিরের নামে নামকরণ করাসহ তার পরিবারকে সরকারি চাকরি দেওয়ার জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীরাসহ ছাত্র সংগঠনগুলো দাবি জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট্য কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত নেয়নি।