বান্দরবানে অপহরণ, হত্যা মামলায় ৬ আসামীর যাবজ্জীবন 


নুরুল কবির    |    ০৩:৩৯ পিএম, ২০২০-১১-১৯

বান্দরবানে অপহরণ, হত্যা মামলায় ৬ আসামীর যাবজ্জীবন 

বান্দরবানের সদর উপজেলার রাজবিলায় অপহরণের পর হত্যা মামলায় ৬ আসামীকে যাবজ্জীবন এবং দুই লাখ টাকা করে অর্থদ-ের আদেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু হানিফ আদালত এই রায় দেন। 

আদালত ও আইনজীবিরা জানায়, বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের চাইপাড়া থেকে ২০১১ সালের ৬ই এপ্রিল ক্যথই মারমা’কে অপহরণ করে নিয়ে দূর্বত্তরা। পরেদিন পাশ^বর্তী স্থান থেকে অপহৃতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী হ্লামেনু মারমা বাদী হয়ে বান্দরবান সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় দীর্ঘ শুনানী শেষে ১৫ জন স্বাক্ষী এবং চার আসামীর স্বীকারোক্তী মূলক জমাবন্দিতে গ্রেফতারকৃত পাঁচ জন’সহ ৬ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড- এবং প্রত্যেক’কে দুই লাখ টাকা করে অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবু হানিফের আদালত। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন- মংহ্লাচিং মারমা, সাচিং প্রু মারমা, উবাচিং মারমা, রেজাউল করিম, উমংপ্রু মারমা। 

অপরজন পলাতক আসামী পুলুশে মারমা। অর্থদন্ডে অর্থ হতে অর্ধেক রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এবং অবশিষ্ট অর্ধেকাংশ ভিকটিমের স্ত্রী’কে ক্ষতিপুরণ হিসাবে প্রদানের আদেশ দেয়া হয়। আইনজীবি মো: ইকবাল করিম জানান, স্থানীয় বাসিন্দার নূরুল কবীরকে অপহরণ করাকে কেন্দ্র করে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে মামলার ভিকটিম ক্যথুই চিং মারমাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয় ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে।

এ ঘটনায় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় আদালত ৬ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের এবং প্রত্যেক আসামীকে ২ লাখ টাকা করে অর্থদ-ের আদেশ দিয়েছেন। রায়ে আমরা সন্তোষ্টু। পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে সাজা কার্যকরে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নাজির বেদারুল আলম।