শারদীয় দূর্গোৎসবের সাজে সজ্জ্বিত হচ্ছে খাগড়াছড়ির ৫৮ মন্ডপ


আল মামুন    |    ০৬:৪০ পিএম, ২০২২-০৯-২৫

শারদীয় দূর্গোৎসবের সাজে সজ্জ্বিত হচ্ছে খাগড়াছড়ির ৫৮ মন্ডপ

সবুজে বেষ্টিত পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে লেগেছে উৎসবের রং। সনাতন ধর্মাবলম্বী (হিন্দু)দের প্রধান ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে সর্বত্রই এখন উৎসবের আমেজ। শারদীয় দূর্গোৎসবের সাজে সজ্জ্বিত হচ্ছে খাগড়াছড়ির ৫৮টি পুঁজা ম-প। ফলে উৎসবে মতোয়ারা হতে মনের রঙে রঙিত হওয়ার সময়ের অপেক্ষা এবার। 

প্রতিবছরের মতো এবারও খাগড়াছড়িতে শারদীয় দূর্গাপূজার উৎসবকে ঘিরে চলছে ব্যাপক সাজ-সজ্জ¦া আর প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত শিল্পী ও পুঁজা উদযাপন কর্তৃপক্ষ। নানা আনুষ্ঠানিকতা আর ধর্মীয় রীতিতে মা দূর্গা বা প্রতীমাকে শেষ রং তুলির আচরে মৃৎ শিল্পীদের হাতে নিঁপূণ ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলতে জেলার ৫৮টি পূজা ম-পে কাজ চলছে। 

ধর্মীয় এই বৃহত্ত উৎসবকে আরো রঙিন করে তুলতে একই ধর্মের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠি ও এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। এদিকে পূঁজা উৎসবকে নিরাপত্ত ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। খাগড়াছড়ি দূর্গাপূঁজাকে সম্প্রীতির উৎস আখ্যায়িত করে সকলের অংশ গ্রহণ ও মিলেমিশে একাকার হতে চান দূর্গাৎসব আয়োজকরা।

খাগড়াছড়ি পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তরুন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, খাগড়াছড়ি জেলায় এবারও ৫৭টি প্রতিমা পূজাও ১টি ঘট পূজা হতে যাচ্ছে। শারদীয় দূর্গোৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে জেলা পুলিশের পাশাপাশি সকলের সাথে বৈঠক হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা পূজা সংক্রান্ত সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে পূজা উদযাপন কমিটি, খাগড়াছড়ি পুলিশ প্রশাসন ও বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সাথে বৈঠক করছেন বলেও তিনি জানান।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো.নাইমুল হক জানান, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির ৫৮টি পূজা মন্ডপের মধ্যে ২৩টি পূজা মন্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ,২৫টিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ১০টিকে সাধারণ হিসেব চিহ্নিত করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূঁজা উদযাপনে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলে তিনি জানান। একই সাথে মোতায়েন থাকবে মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স, রির্জাভ ফোর্স, আনসার ও ভিডিপি সদস্য।

সারাদেশের মত খাগড়াছড়ি জেলাতেও সনাতন ধর্মাবলম্বী (হিন্দু) ও ত্রিপুরা সম্প্রদায় এই বৃহত্ত ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পুঁজায় উৎসবে মেতে উঠে। পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মেলবন্ধনে উৎসবের জোয়ারে মেতে উঠবে সবাই এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের।