খাগড়াছড়িতে ছড়া দখল করে সালিশ কেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা 


আল মামুন    |    ১০:৪৫ পিএম, ২০২২-০৭-২১

খাগড়াছড়িতে ছড়া দখল করে সালিশ কেন্দ্র নির্মাণের চেষ্টা 

খাগড়াছড়ির দক্ষিণ গঞ্জপাড়া এমএ হক মাদ্রাসার পুকুরের পাশে রাস্তার সংলগ্ন দীর্ঘ দিনের পানি প্রবাহের ছড়া দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে সালিশ কেন্দ্র। নির্মাণ কাজের প্রথম প্রক্রিয়ায় পাকা পিলার তৈরীর কাজের তৎপরতা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। 

এরই মধ্যে  ছড়া উপর সারিবদ্ধ ভাবে পাকা পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। এমন দখল কাজে ক্ষোধ জনপ্রতিনিধি স্থানীয় মেম্বার জয়নাল আবেদীন মাসুমসহ এলাকার প্রভাবশালীরা যুক্ত হয়ে এ কাজ করলেও যেন দেখার কেউ নেই। 

তবে যুক্তি হিসেবে গোলাবাড়ী ইউপি’র ২নং ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল আবেদীন মাসুম বলছেন,সামাজিক ভাবে বৈঠক হয়েছে স্থানীয়দের সালিশের জন্য একটি সালিশ কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে এ স্থানে। 

তিনি আরো জানান,খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানসহ কথা হয়েছে তিনি নিজেও এই কাজের জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছেন। আমি নিজে (মেম্বার জয়নাল আবেদীন মাসুম) ১০ হাজার টাকা দিয়ে এটি করাচ্ছি। এই সালিশ কেন্দ্রে সমাজের অনেকে রয়েছে বলেও তিনি দম্বের সাথে বলেন। তবে তিনি এটি কোন ভাবেই দখল মানতে নারাজ। 

এদিকে খাগড়াছড়ি ভাইস চেয়ারম্যান আকতার হোসেন বলেন, সামাজিক ভাবে বৈঠক বা বিচার-সালিশের জন্য কোন স্থান নেই তাই সমাজের সকলের সম্মতিতে সালিশ কেন্দ্র হিসেবে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ সময় তিনি ভবিষ্যতে কেউ ঐ স্থান দখল করলেও তার দারভার কে নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘবেনা আমরা সকলে যেখানে আছি। 

স্থানীয় এলাকাবাসী মাহবুবুল আলম, জাবেদ ও নুরু বলেন,ছড়া দখলের কোন বিধান নেই। এছাড়াও যেখানে বিচার-সালিশের জন্য সরকার এত অর্থ খরচ করে ইউনিয়ন পরিষদ আছে সেখানে এ ধরনের কর্মকা- কোন ভাবেই মেনে নেওয়ার মত নয়। সামাজিক ভাবে বৈঠকের মাধ্যমে যে সিধান্তের কথা বলা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয় বলেও তারা জানান। 

একই সাথে একটি সিন্ডিকেট চক্র দখল কাজের সাথে জড়িত বলে দাবী সচেতন এলাকাবাসীর। এছাড়াও সালিশ কেন্দ্র করার খুব বেশি প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে অর্থ দিয়ে জায়গা ক্রয় করে সেখানে করা হোক। ছড়া দখল করে বা ছড়ার উপর কেন এমন প্রশ্নও রাখেন স্থানীয়রা।  
 
গোলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান উল্লাস ত্রিপুরা জানান, ছড়া দখলের চেষ্টার বিষয়টি শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সকলকে ছড়াও কোন ধরনের কাজ বা স্থাপনা না করতে বারন করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ নির্মাণ কাজ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।