নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৯:১৫ পিএম, ২০২২-০৩-২১
॥ বিশেষ প্রতিবেদক ॥
শান্তির জন্য চুক্তি করার পরও অবৈধ অস্ত্র বহন করার মানে হলো দেশ ও জাতির সাথে ধোকাবাজি করা। পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্যই মূলত শেখ হাসিনার সরকার উদারতার পরিচয় দিয়ে শান্তিচুক্তি করেছিল। কিন্তু সরকারের এই উদারতা কেউ যদি বুঝতে অক্ষম হয়, বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। পাহাড়ে শান্তি সুপ্রতিষ্ঠিত করতে কঠোর অবস্থানে যেতেও দ্বিধাবোধ করবে সরকার। তাই অস্ত্রের পথ পরিহার করে শান্তির পথে ফিসে আসার জন্য সকলের প্রতি উদ্বাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজী করে আধিপত্য বিস্তারের এই প্রক্রিয়া সুস্থ জীবনের পরিচয় বহন করে না।
সোমবার (২১ মার্চ) রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার সময় আওয়ামী লীগের এই শীর্ষস্থানীয় নেতা এমন মন্তব্য করেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি।
মাহবুব উল আলম হানিফ আরো বলেন, পাহাড়ে অশান্তির বীজ বপন করেছিলেন জিয়াউর রহমান, তার হাত ধরেই পাহাড়ি-বাঙালিদের সংঘাতের সৃষ্টি হয়, তখন থেকেই অশান্তি চলেছে। সেই ধারাবাহিকতায় জিয়ার দল (বিএনপি) এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে, তারা দেশ বিরোধি য়ড়যন্ত্রে সক্রিয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে শান্তিচুক্তি করেছেন। পাহাড়ের দুর্গম এলকাগুলো এখন পরিকল্পিত উন্নয়নের ছোঁয়ায় ঝলমল করছে। কিন্তু সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি উন্নয়নের এই গতি শ্লথ করে দিচ্ছে। জনকল্যাণের স্বার্থেই এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। তিনি অস্ত্রধারী অস্ত্র ও সন্ত্রাসের পথ পরিহার এবং য়ড়যন্ত্রকারীদের সুপথে ফিরে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি পাহাড়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে তুলমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বরের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইফ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মোঃ সিরাজুল মোস্তফা, সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এ সময় তাদের অনুভ’তি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন।
জাঁকজমকপূর্ণ এই তৃণমুল প্রতিনিধি সভায় আগামী ২৪ মে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের ঘোষণা দেয়া হয়। এর মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলো ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটির করার নির্দেশ দেন নেতৃবৃন্দ। সম্মেলনে রাঙামাটির ১০ উপজলার ৫০টি ইউনিয়ন হতে তৃণমুল প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
আইয়ুব চৌধুরী : দেশের সবচেয়ে আকষর্ণীয় রাঙ্গামাটির দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ রাজস্হলী-কাপ্তাই উপজেলা। দীর্ঘ প্র...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি সম্প্রীতি উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় নিবেদিত ভাবে ...বিস্তারিত
আইয়ুব চৌধুরী : রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সূর্যব্রত মেলা জমে উঠেছে। ৫ফে...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটিতে পবিত্র কুরআন খতমে গাউসিয়া শরিফ হামদ্ -নাত, ক্বেরাত, আজান প্রতিযোগীতা এবং ছাত্রদের ছবক, ...বিস্তারিত
নুরুল কবির : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণাল য় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, হতদরিদ্র বাংল...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙ্গামাটি কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি স্বল্পতায় উৎপাদন ধসের পর্যায়ে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক ...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2023 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited