আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে  আলোচনা সভা ও মানববন্ধন


স্মৃতিবিন্দু চাকমা    |    ০৭:১০ পিএম, ২০২১-১১-২৫

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে  আলোচনা সভা ও মানববন্ধন

লিঙ্গ সহিংসতার বিরুদ্ধে ১৬ দিনের কর্মযজ্ঞ হলো একটি আন্তর্জাতিক প্রচারভিযান,যা ২৫ নভেম্বর নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসে শুরু হয়ে ৯ ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস হয়ে ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত পালিত হয়।

১৬ দিনের প্রচারাঅভিযানের এবারের বৈশি^ক প্রতিপাদ্য হলো ‘অরেঞ্জ দ্য ওয়াল্ডর্: নারী সহিংসতা বন্ধের এখনই সময়’ আজ ২৫ নভেম্বর জুরাছড়ি উপজেলায় স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা  প্রোগ্রেসিভ এর আয়োজনে মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রোগ্রেসিভ নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা।  প্রোগ্রাম অফিসার এন্টীনা চাকমার পরিচালনায় অত্র উপজেলায় নারী সহিংসতা প্রতিরোধে চলমান প্রকল্প কিভাবে ভূমিকা রাখছে  এবিষয়ে উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক সুব্রত খীসা।

প্রধান অতিথি জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন,নারীদের প্রতি আমাদের সকলের সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। নারীরা আমাদের ভোগ্যপন্য নয়,নারীদের বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে সকলের সম্মিলীত সহযোগীতা প্রয়োজন। দিবসটির মধ্যদিয়ে প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলে কোন প্রকার নারী যেন সহিংসতা স্বীকার না হন সেজন্য জন সচেতনতা বাড়াতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস আলপনা চাকমা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তরুন চাকমা,বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের  মাষ্টার ট্রেইনার মিসেস রিমি চাকমা প্রমূখ।

বক্তরা বলেন,দেখা যায়, নারীর প্রতি সহিংসতার মামলায় বিভিন্ন পর্যায়ে যুক্ত পুলিশ,সরকারি কৌসুলি,আইনজীবি,সাক্ষীসহ যারা মামলা তদন্ত করেন,যারা জেরা করেন তারা এবং কোন কোন ক্ষেত্রে  বিচারকগণও পুরুষতান্ত্রিক,সামন্ততান্ত্রিক ও পশ্চাৎপদ মানসিকতার অধিকারী। তাদের কার্যক্রমে সমানাধিকার ও নারীর মর্যাদার প্রতি কোন শ্রদ্ধা কম দেখাযায়। ফলে সহিংসতার শিকার নারীরা ন্যায্য বিচার পায় না। তারা যাতে ন্যায্য বিচার পায় সেটা নিশ্চিত করা কেবল সহিংসতা কমানোর জন্য দরকারি তা নয়,বরং নারীর সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যও জরুরি। এজন্য বৈষম্যমূলক আইন ও বিচার প্রক্রিয়ারও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে বলে বক্তারা  মত প্রকাশ করেন।