বান্দরবান মহিলা কলেজ হোস্টেল পরিচারিকাদের লাঞ্চনার অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে


নুরুল কবির    |    ০৮:৪৯ পিএম, ২০২১-০৬-০৮

বান্দরবান মহিলা কলেজ হোস্টেল পরিচারিকাদের লাঞ্চনার অভিযোগ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজ হোস্টেলে কর্মরত পরিচারিকাদের লাঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার দুপুরে বকেয়া বেতনের দাবীতে হোস্টেল পরিচারিকারা অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তাদেরকে অশালীন ভাষায় গালাগাল দিয়ে লাঞ্চিত করে তাড়িয়ে দেয়া হয় অধ্যক্ষ। জানা গেছে বান্দরবান সরকারী মহিলা কলেজ হোস্টেলে মেয়েদের দেখা শোনার জন্য ১০ জন খন্ডকালীন হোস্টেল পরিচারিকা নিয়োগ দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘদিন ধরে তারা মহিলা হোস্টেলে কাজ করে আসছে। এক মাসে তাদের বেতন না দেয়ায় তারা অধ্যক্ষের কাছে গেলে অধ্যক্ষ তাদের অর্ধেক বেতন দেয়ার কথা জানালে তারা প্রতিবাদ করে।

এসময় অধ্যক্ষ তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করে তাদের লাঞ্চিত করেন এবং অর্ধেক বেতন না নিলে চলে যেতে বলেন। হোস্টেল পরিচারিকা জেসমিন বলেন আমি নয় বছর ধরে হোস্টেলে কাজ করছি। করোনাকালীন সময়েও প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কাজ করেছি। আজ যখন আমরা বেতন চাইতে গেলাম তখন অধ্যক্ষ আমাদেরকে অর্ধেক বেতন দেয়ার কথা বলেন। মাসে ৫ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করি অর্ধেক বেতন দিলে সেটা দিয়ে পরিবার নিয়ে চলবো কিভাবে সে কথাটি অধ্যক্ষ স্যারকে বললে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের খুবই বাজে ভাষায় গালমন্দ করেন। যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। সেখানে আমরা ছয় সাতজন মহিলা ছিলাম যাদের কয়েকজন স্যারের মায়ের বয়সী তিনি এত বাজে ভাষা ব্যবহার করবেন আমরা ভাবতেও পারিনি। পরে তিনি আমাদের অর্ধেক বেতন না নিলে কলেজ থেকে চলে যেতে বলেন।

মহিলা হোস্টেলের পরিচ্ছন্নকর্মী তপন বলেন- ৭-৮ জন মহিলাসহ অধ্যক্ষের কাছে বেতন চাইতে গেলে তিনি আমাদের অর্ধেক বেতন দেয়ার কথা বললে তাতে আমরা রাজি না হলে তিনি মহিলাদেরকে কটুক্তি করে এত বাজে ভাষায় গালাগাল করেছেন মহিলারা সেখানে কান্না করে দিয়েছেন এবং তার রুম থেকে বের করে দেন। একজন কলেজের অধ্যক্ষ মহিলাদের সাথে এত খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে পারবে সেটা কল্পনাও করতে পারিনি।

এ বিষয়ে সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রদীপ কুমার বড়–য়াা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন করোনাকালীন সময়ে গত ১৪ মাস ধরে হোস্টেল বন্ধ। তারপরও তাদেরকে পূর্ণ বেতন দেয়া হয়েছে। এখন হোস্টেলের ফান্ড সংকট দেখা দেয়ায় তাদেরকে বলেছি আপাতত অর্ধেক বেতন নিতে, কলেজ খুললে তখন পুরো বেতন দেয়া হবে। লাঞ্চনা ও অশালীন ভাষায় গালাগালির সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তাদেরকে কোন গালমন্দ করিনি। অর্ধেক বেতন দেয়ার কথা বলায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।