সন্ত্রাসীদের পিছনে শক্তিশালী কোনো হাত আছে: দীপংকর তালুকদার


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৪:৫২ পিএম, ২০২১-০২-২৭

সন্ত্রাসীদের পিছনে শক্তিশালী কোনো হাত আছে: দীপংকর তালুকদার

পার্বত্য এলাকায় যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে তাদের পিছনে শক্তিশালী কোন হাত আছে, যারা তাদেরকে ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, এইসব অপশক্তিকে আমরা যদি পরাজিত করতে না পারি তা হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিরতা দূর করা কঠিন। এর জন্য শুধু মাত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে নয় আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করতে হবে।

শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙামাটি কাঠালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পরিনয় চাকমা, রাঙামাটি এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী রনি সাহা, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, পৌর কাউন্সিলর মোঃ জামাল উদ্দিন, কাঠালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ বদিউল আলম।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশে যেসব বিদ্যালয় জাতীয় করণ করা হয়েছে এর অতিরিক্ত শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১০টি বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছে। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রাঙামাটি মেডিকেল কলোজ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু এইসব উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করতে গিয়ে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের কারণে আমাদের প্রতিনিয়ত প্রতিকুলতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাদের দাবী রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ, বিদ্যুৎ সব কিছু করার আগে শান্তিচুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হওয়ার পড়ে। আমরা বলছি শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের জন্য এই উন্নয়ন অপরিহার্য্য। এই উন্নয়ন শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করবে। তাই আমরা যতই উন্নয়ন করি না কেন আঞ্চলিক দল বিশেষ করে জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমার বিরোধিতার মুখে আমাদের পড়তে হয়। তার পরও সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আর যদি তারা বাধা প্রদান না করতো তা হলে আমরা আরো অনেক বেশী উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারতাম। কারণ শিক্ষা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যে মনের অন্ধকারটা দুর হয়। কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা তখন বুঝতে পারে।

তিনি বলেন, পাহাড়ে এখনো এমন কিছু আধিপত্য বিস্তারের এলাকা আছে যেখানে শিক্ষা, দীক্ষা, সভ্যতা সমস্ত দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে আর সেখানেই আঞ্চলিক দলগুলোর ঘাঁটি। সেখানে আঞ্চলিক দলের নেতাকর্মীরা তাদের যা বলছে তাই শুনছে। আর পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের অভাব অভিযোগকে পুঁজি করে নিয়ে সমস্যা সমাধান করতে চাই না। এরা চাই এই ধরনের সমস্যা থাকুক। যাতে করে তারা তাদের ইচ্ছেমত রাজনীতি করতে পারে। আর এই ধরণের অপরাজনীতি বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।

উল্লেখ্য, রাঙামাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে ৬১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সম্প্রসারিত এই ভবন নির্মাণ করা হয়।