বান্দরবানে ডায়রিয়া প্রকোপে শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৭:১৬ পিএম, ২০২২-০৬-১২

বান্দরবানে ডায়রিয়া প্রকোপে শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ডায়রিয়া পাশপাশি ম্যালেরিয়ার প্রকোপ যেন ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলেছে । সেসব রোগের বেশীর ভাগই ভুগছেন পাহাড়ি জনগোষ্ঠীরা। পাথর উত্তোলন, গাছ নিধন সহ প্রাকৃতিক ভারসাম্যাবস্থা না থাকার কারণে প্রায় সময় নানা রোগের পোহাতে হয় দুর্গম এলাকার বসবাসরত পাহাড়িদের।

এদিকে গতকাল থানছি উপজেলার দুর্গম এলাকায়  রেমাক্রী ইউনিয়নের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২জন ও  ১ শিশুসহ ৩ জনের  মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নিহত কার্বারী মেনথাং ম্রো(৪৯), লংঞী ম্রো(৪৫), প্রেন ময় ম্রো(১১), তারা রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড বাসিন্দা।

মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেমাক্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুই শৈ থুই মার্মা।

তিনি জানিয়েছে, বর্ষা মৌসুম হওয়ার কারনে ঝিড়ি-ঝর্ণা-খাল থেকে দুষিত পানি পান করার কারনে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে। গতকাল ডায়রিয়া আক্রান্ত গ্রামে গ্রামে ইউপি সদস্য মাধ্যমে ঔষধপত্র নিয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, থানচি উপজেলায় ১ নং রেমাক্রী ইউনিয়নের  দুর্গম এলাকা বড়মদক, আন্ধ্যারমানিক, নারিচা পাড়া,মেন থাং পাড়াসহ  বিভিন্ন পাড়া এলাকায় ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া রোগের ভূগছেন ১৪০ জনের শতাধিক মানুষ। তার মধ্যে পুরুষসহ শিশও রয়েছে।

থানছি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ  কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ম্যালেরিয়া ও ডায়রিয়া জনিত আক্রান্ত রোগীদের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমানে, ওরস্যালাইন  ঔষধসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হয়েছে।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় ৪নং কুরুকপাতা ইউনিয়নে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয় ৩৮০ জন মানুষ। তবে সেসব এলাকাতে এই পর্যন্ত কোন মৃত্যু ঘটনা ঘটেনি। খবর পেয়ে গতকাল সেনাবাহিনী উদ্যাগে সেসব এলাকায় ফ্রি চিকিৎসা প্রদান  করা হয়।

আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী জানান, দুর্গম এলাকায় গুলোতে ঔষুধ সহ চিকিৎসক দলকে পাঠানো হয়েছে। পাশপাশি বিজিবি ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে এক যোগে কাজ করে যাচ্ছে।

বান্দরবান সিভিল সার্জন  নিহার রঞ্জন নন্দী জানিয়েছেন, খুব দুর্গম এলাকা হওয়ার কারনে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খারাপ।  থানছি উপজেলা মেডিকেল টিম বিজিবি মেডিকেল টিম এর সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। আশা করি দ্রুত ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।