নিজস্ব প্রতিবেদক | ০১:০৪ এএম, ২০২২-০৬-০৩
উচ্চবিলাসী বাজেট চাই না। এই মুহূর্তে গরিববান্ধব বাজেট খুবই জরুরি। নিন্মবিত্ত-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য বাজার দিনদিন আতংকে রূপ নিচ্ছে। এটাই প্রকৃত বাস্তবতা। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।
সাধারণ মানুষের কাছে মেগাপ্রজেক্ট কিংবা উন্নয়নশীল দেশের তকমার বাইরে স্থিতিশীল বাজার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অস্থিতিশীল বাজার অনেক বড় বড় অর্জনকে ম্লান করে দিচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের জন্য একটা টাস্কফোর্স কিংবা সমন্বয় সেল খুব জরুরি। বাজার মনিটরিংয়ে লোক দেখানো মোবাইল কোর্ট আর নিধিরাম সর্দার মার্কা ভোক্তা অধিদপ্তরকে যুগোপযোগী করে ঢেলে সাজানো জরুরি।
বিদেশে অর্থপাচার, দুর্নীতি এবং বৈদেশিক ঋণের ভার ঘাড়ের ওপর ভয়ংকর নিঃশ্বাস ফেলছে। যতদুর শুনেছি এবারের বাজেটে আভ্যন্তরীণ ব্যাংক ঋণের পরিমাণও এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আয়ের বিকল্প খাত সৃষ্টি না করে ক্রমাগত ঋণের মোড়কে বিশাল আকারের বাজেট কল্যাণের চেয়ে আতংক এবং বেশি আশঙ্কা সৃষ্টি করতে পারে।
বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে রাজস্ব আয় বাড়ানোর যেমন বিকল্প নেই- তেমনি জনগণের উপরও করের বোঝা চাপানোর সুযোগ নেই। ক্রমাগতভাবে গ্যাস বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সেবার মূল্যবৃদ্ধি হিতে বিপরীত হতে পারে। বিগত সময়ে বিদেশে পাচারকৃত বিশাল অংকের অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন সেল গঠন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে বহুমুখি সমস্যার সমাধান হবে।
বৈশ্বিক রাজনীতি বর্তমানে টালমাটাল অবস্থায় আছে; পাশাপাশি আভ্যন্তরীণ রাজনীতির মাঠ এখন নির্বাচনমুখী- তাই গতানুগতিক উচ্চবিলাসী বাজেটের রীতিনীতি এবং অনুসরণ সংস্কৃতি বিপদজনক হবে। প্রতিবেশি ভারত মিয়ানমারসহ শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের আচরণ দিনদিন তাদের স্বার্থের সাথে তাল মিলিয়ে উঠা-নামা করছে। ভোল পাল্টানোর এই খেলায় বাংলাদেশ এখনো অবুঝ শিশুর মতই দর্শক হিসেবে আছে। যার কারণে বাণিজ্য ঘাটতি কমার পরিবর্তে বেড়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের জনগণের একটা দুর্ভাগ্যের বিষয় নজরে এলো- ব্যবসায়ী নেতারা রাজনীতিতে আসে জনগণের সেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। কিন্তু এমপি মন্ত্রী হওয়ার পর তারা হয়ে উঠেন প্রকৃত ব্যবসায়ী। প্রতিশ্রুতির প্রতারণায় আজ প্রকৃত রাজনীতিবিদেরা হয়ে গেছে কর্মী আর ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে রাজনীতি।
তার উপর আমলাতন্ত্রের ভয়াল থাবা- মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন প্রকৃত অর্থেই রাজনীতি আর রাজনীতিবিদদের কাছেও নেই; ব্যবসায়ীদের কাছেও নেই। রাজনীতি এখন আমলাদের রান্নাঘরে চা বানায়। গণতন্ত্র আর সুশাসনের জন্য রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতে যাওয়া জরুরি।
এদেশের গরিব-দুঃখী মানুষের কল্যাণে একটা জনবান্ধব বাস্তবসম্মত বাজেট চাই।
লেখক : সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও সমাজকর্মী এবং রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
গোলামুর রহমান-লংগদু : পাহাড়ী বাঙ্গালী অয পাড়ার ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আইসিটিতে পারদর্শী এবং ডিজিটাল মিডিয়া সম্...বিস্তারিত
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েট এর অন্তর্ভুক্ত আস্থা প্রকল্পের ইয়ুথ গ...বিস্তারিত
স্মৃতিবিন্দু চাকমা : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জুরাছড়ি উপজেলায় দরিদ্র জেলেদে...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক আগামী ৮ই মে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে নি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের ১৪৯নং গুইচড়ি মৌজার চান্দবী ঘাট পাড়ায় প্রত্যন...বিস্তারিত
নুরুল কবির : ক্ষমতাসীনরা সিন্ডিকেট করে বাজারের দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিট...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited