“পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও জুম্ম জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী”


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১২:৫৩ এএম, ২০২২-০৫-২১

“পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন ও জুম্ম জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী”

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক সমর্থিত বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)। শুক্রবার সকালে উপজেলার কল্পরঞ্জন মাঠে বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠার উদযাপনের সূচনা করনে, উদ্বোধক জেএসএস (এমএন লারমা সমর্থিত) এর কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক বিভূরঞ্জন চাকমা।  

পরে বর্ণাঢ্য একটি র‌্যালী উপজেলা প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কল্পরঞ্জন মাঠে এসে জাতীয় সঙ্গিত পরিবেশেনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা অমর জ্যোতি চাকমা,দলীয় সঙ্গিতের মধ্য দিয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)র সভাপতি দীপন চাকমা। 

শিক্ষা সংহতি সাম্য প্রগতি’তে উজ্জীবিত “জাতীয় অস্তিত্ব ও জন্মভূমির অস্তিত্ব রক্ষার্থে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে ছাত্র সমাজ বৃহত্তর জুম্ম জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন” শ্লোগানে আয়োজিত প্রথম অধিবেশনে ছাত্র সমাবেশ ও দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিল এ পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি দীপন চাকমার সভাপতিত্বে পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারন সম্পাদক জেসলেন চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা অমর জ্যোতি চাকমা। 

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেএসএস(এমএন লারমা সমর্থিত)এর সহ-সভাপতি প্রীতি খীসা, ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক এর কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক অমল কান্তি চাকমা। এতে আরো বক্তব্য রাখেন, পিসিপির কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক রহেল চাকমা,সাংগঠনিক সম্পাদক সুবরন চাকমা,পিসিপির দীঘিনালা কলেজ সভাপতি সুভাষ চাকমা, খাগড়াছড়ি কলেজ সভাপতি বিজয় চাকমা প্রমূখ। 

বক্তারা ছাত্র সমাবেশে বলেন, ১৯৮৯ সালের ৪ মে লংগদু উপজেলার ৩২টি গ্রামে পাহাড়ীদের নারকীয় গণহত্যার মধ্য দিয়ে এই সংগঠনের জন্ম হয় বলে জানান। শাষক গোষ্ঠির সকল ষড়যন্ত্র,অন্যায়-অবিচার ও চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) সংগ্রাম করে যাচ্ছে মন্তব্য করে অচিরেই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ জুম্ম জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী করেন। 

একই সাথে রাষ্ট্রিয় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ মেডিকেল,ইঞ্জিনিয়ার,পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়সমুহে ৫% কোটা ব্যবস্থা চালু ও কার্যকর,রাষ্ট্রের সকল সরকারি চাকরীর ক্ষেত্রে পাহাড় সমতলে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল রাখা,পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক স্ব-স্ব মাতৃভাষায় সরকারি ভাবে প্রাথমিক পর্যায়ে নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষক নিয়োগ ও দ্রুত কার্যকর করা ও অনগ্রসর জুম্ম বেকার শিক্ষিতদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবী জানানো হয় সমাবেশ থেকে। দ্বিতীয় অধিবেশনে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে দীপন চাকমাকে সভাপতি,রহেল চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও উচিং মারমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।