নবসৃষ্ট প্রেসক্লাব থেকে রাঙামাটির ৯ সাংবাদিকের পদত্যাগ


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৩:৫৮ পিএম, ২০২১-০৭-১৬

নবসৃষ্ট প্রেসক্লাব থেকে রাঙামাটির ৯ সাংবাদিকের পদত্যাগ

নবসৃষ্ট রাঙামাটি প্রেসক্লাব থেকে পদত্যাগ করলেন ৯জন সদস্য। তারা হলেন এসএ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও হিল নিউজের সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি ফজলুর রহমান রাজন, জিটিভির জেলা প্রতিনিধি মিল্টন বাহাদুর, দেশ টিভির জেলা প্রতিনিধি বিজয় ধর, একাত্তর টিভি‘র জেলা প্রতিনিধি উচিং ছা রাখাইন কায়েস, আরটিভি জেলা প্রতিনিধি, ইয়াছিন রানা সোহেল, এশিয়ান টিভি‘র জেলা প্রতিনিধি আলমগীর মানিক, দৈনিক মানবকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি নুরুল আমীন মানিক ও দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি মোঃ শাহ আলম।

বৃহষ্পতিবার (১৫জুলাই২০২১) এসব সদস্য লিখিতভাবে পদত্যাগ করেন। এরমধ্যে একই পত্রে ৭জন এবং আলাদা দুটি আবেদনে ফজলুর রহমান রাজন ও আলমগীর মানিক তাদের পদত্যাগত্র জমা দেন বলে জানান। লিখিত পত্রে বলা হয় রাঙামাটির সংবাদিকদের প্রধান ও প্রাচীন সংগঠন রাঙামাটি প্রেসক্লাবে সদস্যভুক্তির জটিলতা নিরসনে প্রেসক্লাবের বাইরে অন্যান্য সংগঠনের সমন্বয়ে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়।

কিন্তু সে উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো একই নামে তথা “রাঙামাটি প্রেসক্লাব” নাম দিয়ে নতুন সংগঠন করা হয়েছে। যা সাংবাদিকদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ির পরিবেশ তৈরী করেছে। এটি রাঙামাটি জেলার সাংবাদিক সমাজের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। এছাড়া নতুন এ সংগঠনটি মূল প্রেসক্লাবের সাথে বিরোধ তৈরীর মাধ্যমে রাঙামাটিতে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে বিরাজমান সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশও নষ্ট করছে।

লিখিত পত্রে আরো বলা হয় “সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ পিআইবি‘র উদ্যোগে আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সংবাদকর্মীদের যোগদানে তাঁরা নিষেধ করেন এবং বেশ কয়েকজনকে কর্মশালায় যোগদানের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে,  এ সংগঠনটি সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছে। 

তাই আমরা সংগঠনটিকে পরিত্যাগ করলাম। এ সংগঠনের সাথে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা এবং এ সংগঠনের কোন কার্যক্রমের জন্য আমাদের কোন দায়বদ্ধতা থাকবে না বলে সদস্যগণ লিখিত পত্রে উল্লেখ করেন।