শহরের উঠতি বয়সী তরুণদের ঝোঁক এখন ট্যাটুতে!


গোলাম মোস্তফা    |    ১১:৫৪ পিএম, ২০২০-০৯-২৯

শহরের উঠতি বয়সী তরুণদের ঝোঁক এখন ট্যাটুতে!

শহীদ মিনারের নিচের সিঁড়িতে ট্যাটু আঁকায় ব্যস্ত উঠতি বয়সী দুই তরুণ

শরীরের বিভিন্ন স্থানে খোদাই করে ট্যাটু আঁকায় লিপ্ত হয়ে উঠেছে বাড়ন্ত বয়সের কিছু যুবক। রাঙামাটি শহরের শহীদ মিনার, নিচের রাস্তা এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বসে শরীরে সুঁই দিয়ে খোদাই করে ট্যাটু আঁকতে দেখা যায়। তারা মনে করছে সবার মাঝে নিজেকে অন্যভাবে ফুটিয়ে তোলা। নিজেকে সাজাতে সবার থেকে ভিন্ন এবং সুন্দর হতে চাই। মানুষের শরীর সাজানোর একটি অংশ হলো ট্যাটু বা উল্কি। আমাদের সমাজে খুব চল না থাকলেও কিছু আধুনিক শ্রেণী আজকাল ট্যাটু নিয়ে বেশ উৎসাহী।

দেখা যায় উৎসাহী যুবকরা হাতের বাহুর কোণে, ঘাড়ে কানের একটু নিচে, গলার আশেপাশে ছোটখাট কোনে ট্যাটু বেশ জনপ্রিয়। শরীরের কোন স্থানে কি করলে আধুনিকতা বৃদ্ধি পাবে তারও পরামর্শ দিচ্ছে একজন আরেকজনকে। একটি হচ্ছে স্টিকার আর অন্যটি খোদাই করা, যেটিকে উল্কি বলা চলে। যখন খোদাই করা হয়, তখন প্রথমে একটু ব্যথা লাগে, যেহেতু এটা চামড়া কিছুটা কাটার মত ব্যাপার ঘটে। কিন্তু একটু পরে সহ্য হয়ে যায়।

স্টিকারের মতো ট্যাটুগুলো সাধারণভাবেই লাগানো হয়। খোদাই করার জন্য রয়েছে অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি সুঁই। এই সুঁইটির মাথায় রঙ লাগনো থাকে। প্রতিবার সুঁইটি যখন চামড়ার ভেতরে প্রবেশ করানো হয় সেই সঙ্গে রঙও ভেতরে প্রবেশ করে। রঙের পরিমাণ খুব কম।

কেউ আবার জানতেও চায় ক্ষতির আশঙ্কা কতটুকু, অনেকেই বিস্তারিত জানে না যে রঙ ব্যবহার করা হয় তার সঙ্গে মেশানো হয় মারাত্মক একটি রসায়নিক পদার্থ। এই রাসায়নিক পদার্থ চামড়ার একেবারে ভিতর থেকে শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে। আর যেহেতু এই উল্কি সারাজীবনই শরীরে থেকে যায়, তাই এই রাসায়নিক পদার্থও সারাজীবন শরীরে থেকে যাবে। এর ফলে বিভিন্ন অসুখবিসুখ এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে।

এছাড়া ট্যাটু করার সময় কেটে গিয়ে রক্তপাত হতে পারে। পরিচ্ছন্নতা সঠিকভাবে মানা না হলে, বিভিন্ন রোগের ও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ট্যাটু করার সময় কোনোরকম ক্ষত তৈরি হলে তা সারানো কঠিন হয়ে পড়ে। ট্যাটুর রংও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।