খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মং সুই প্রু চৌধুরী অপু 


আল মামুন    |    ০৭:১৮ পিএম, ২০২০-১২-১০

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মং সুই প্রু চৌধুরী অপু 

আবারো তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সাথে পূর্ণগঠন হলো খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এবার দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ৯ম অন্তর্বর্তীকালীন খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিয়োগ পেলেন তরুণ রাজনীতিবিদ মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। 

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর ২০২০) বিকেলে বাংলাদেশ সচিবালয়ের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপসচিব সজল কান্তি বণিক স্বাক্ষরিত নং ২৯.০০.০০০০.২১৪.০১.২২৪.১৮-১৫৪ নং স্বারকে প্রদত্ত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।   

পুনর্গঠিত নতুন পরিষদে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন, বর্তমান পরিষদের নির্মলেন্দু চৌধুরী, মংক্যচিং চৌধুরী ,আশুতোষ চাকমা, মো.আব্দুল জব্বার, রে¤্রাচাই চৌধুরী, খোকনেশ্বর ত্রিপুরা,পার্থ ত্রিপুরা এবং  শতরূপা চাকমা। 

এই পরিষদে সদস্যদের মধ্যে নতুন মুখ হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজন তরুণ রাজনীতিবিদ। তারা হচ্ছেন, শুভমংগল চাকমা, নিলোৎপল খীসা,মাইন উদ্দিন,হিরণজয় ত্রিপুরা,মেমং মারমা এবং শাহিনা আক্তার। 

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন ১৯৮৯ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ১৯৯৭ এর ১৬ ক। (৪) উপধারা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন ২০১৪ এর ২(২) উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ পূর্ণগঠন করেন বলে জানানো হয়। 

প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, ২৫ মার্চ ২০১৫ তারিখের ২৯.০০.০০০০.২১৪.০১.১২০.২০০১(অংশ-১)/৮৮ নম্বর প্রজ্ঞাপন দ্বারা গঠিত পরিষদ বাতিল করা হয়। সে সাথে জনস্বার্থে জারীকৃত এই আদেশ অভিলম্বে কার্যকর হইবে বলে জানানো হয়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে একজনকে চেয়ারম্যান ও ১৪ জনকে সদস্য করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন এই পরিষদ। 

১৯৯৭ সালে পার্বত্যচুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন সংশোধন এবং নাম পরিবর্তন করে পার্বত্য জেলা পরিষদ করা হয়। একই বছর আবার আইন সংশোধন করে পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত সরকার মনোনীত একজন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির সদস্য চেয়ারম্যানসহ পাঁচ সদস্যের অন্তর্র্বর্তীকালীন পরিষদ গঠনের বিধান করা হয়। পরবর্তীতে আবার আইন সংশোধন করে একজন আদিবাসী চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ১৪ জন সদস্য নিয়ে অন্তর্র্বর্তীকালীন পরিষদ গঠনের বিধান করা হয়।