চাঁদা না পেয়ে অন্ততঃ ১০টি মোবাইল টাওয়ারের তার কেটেছে ইউপিডিএফ


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০২:২৬ এএম, ২০২৫-০১-২৬

চাঁদা না পেয়ে অন্ততঃ ১০টি মোবাইল টাওয়ারের তার কেটেছে ইউপিডিএফ

সন্ত্রাসীদের দাবি অনুযায়ী চাঁদা পরিশোধ করতে না পারার অপরাধে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির চারটি উপজেলায় অন্তত ১০টি মোবাইল টাওয়ারে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও বিদ্যুৎসহ মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ইউপিডিএফ সদস্যরা। 

বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি রবি’র এসব মোবাইল টাওয়ারের তার কেটে ফেলার কারণে বিপাকে পড়েছে লাখো গ্রাহক। মোবাইলটি কোম্পানিটি এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপকে দায়ী করেছে।

বিভিন্ন সূত্র জািিনয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নতুন করে আতংক সৃষ্টি করছে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ। তাদের সন্ত্রাসীরা ২২ জানুয়ারি ভোররাতে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা, মানিকছড়ি, মাটিরাঙা এলাকায় ৬টি ও রাঙামাটি জেলার নানিয়াচর উপজেলায় ৪টি টাওয়ারে হামলা চালিয়ে নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়াসহ টাওয়ার অফিস ও সার্ভার রুম ভাঙচুর, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও লুটপাট করে। ফলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এবং বিপাকে পড়েছে লাখো মোবাইল গ্রাহক।

রবি মোবাইল কোম্পানির জনৈক প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, সম্প্রতি ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ মোবাইল টাওয়ার অপারেটরদের কাছে বিপুল পরিমাণ চাঁদা দাবি করে। অপারেটররা চাঁদা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনায় বলে তার অভিযোগ।

বর্তমানে ওইসব এলাকায় মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। টাওয়ার টেকনিশিয়ানরা জানিয়েছেন, এই ক্ষতি পূরণ যথেষ্ট সময় ও অর্থ সাপেক্ষ হওয়ায় এই এলাকাগুলোর জনগণকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য নেটওয়ার্ক বিহীন অবস্থায় থাকতে হতে পারে। তার ওপর ইউপিডিএফ এর হুমকি তো রয়েছেই।

ওইসব এলাকায় মোবাইল সেবা বন্ধ থাকায় এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রশাসনিক কাজকর্মে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই জরুরি ফোন কল করতে পারছেন না এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

এসব এলাকায় এখন মোবাইল নেটওয়ার্ক একেবারে নেই। এতে করে এসব এলাকায় বসবাসরত লাখো মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে। এই পরিস্থিতির ফলে শুধু মোবাইল সেবা নয়, পুরো এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাপক বিঘিœত হচ্ছে। অনেকেই জরুরী ফোন কল করতে পারছেন না এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও ব্যবহার করতে পারছে না।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি চাঁদা পরিশোধ না করা হয়, তবে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকায়ও একই ধরনের কার্যক্রম চালাবে। এ ধরনের হুমকি এবং অব্যাহত চাঁদাবাজি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চললেও, কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন এদের অরাজগতা বেড়েই চলেছে। তারা আশা করেন, সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই সমস্যা সমাধান হবে এবং পাহাড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।