কাজ না করেই বরাদ্দ লুটের অভিযোগ ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে


গোলামুর রহমান-লংগদু    |    ০৬:২০ এএম, ২০২৫-০১-২৫

কাজ না করেই বরাদ্দ লুটের অভিযোগ ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে

বরাদ্ধ দিয়ে লুটপাট আর নিজের মত করে কাজ না করে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। বলছি রাঙ্গাটির লংগদু উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের( SS S W IGP) সাব ইঞ্জিয়ার নাদিমের কথা। সে তিন বছরের একজন প্রজেক্ট কর্মচারী।

 

২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এপ্রিল মে জোন এডিপি প্রক্ল্প ব্যায়ামাগারের জন্য  ৬ লক্ষ এবং একই অর্থবছরে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ক্রীড়া সংস্থার ৫ লক্ষ টাকা। লংগদু ব্যায়ামাগারের (ইন্সট্রুমেন্ট) মালামাল ক্রয়ের জন্য বরাদ্ধ থাকলেও করা হয়নি তার কোন কাজ। ক্রীড়া সংস্থা উন্নয়নের কিছু কাজ করা হলেও তা সামান্য পরিমান।এদিকে ব্যায়ামাগারের ইন্সট্রুমেন্টের জন্য কাজের ধরণ একশো পার্সেন্ট দেখালেও এখনো জিরো পার্সেন্ট। কিছু অকেজো আসবাবপত্র থাকলেও তার কোন ব্যবহার করার মত উপযুক্ত নয়। 

 

এবিষয়ে উপজেলা সাব ইঞ্জিনিয়ার নাদিম সাহেবকে মোটু ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা। এবিষয়ে আমাদের উপজেলা প্রকৌশলী কথা বলবে।

 

উপজেলা প্রকৌশলী শামসুল আলম বলেন, নাদিম সাহেব আমাদের কাজ বুঝিয়ে দিয়েছে, আমরা বুঝে পেয়েছি। কিন্তু ব্যায়ামাগারে মালামাল নাই কেন? প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা খুঁজ নিয়ে জানতে হবে। তিনি (নাদিম) এখানকার ইঞ্জিনিয়ার না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সে এখানে তিন বছরের প্রজেক্ট আসছে বলছে,এমাসের জোনে তার মেয়াদ শেষ হবে বলেছে তিনি। আমরা জেনেছি তার এখানে প্রজেক্টের সময় শেষ?  প্রশ্নে তিনি বলেন তার কাগজ পত্র দেখে জানতে হবে। 

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও  ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি কফিল উদ্দীন মাহমুদ বলেন, যেহেতু আমি এখানে আসার আগের ঘটনা, তাই খুঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

এবিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আহামদ শফি মুঠোফোনে জানান, নাদিমের বিষয়ে কিছু তথ্য আগেও পেয়েছি,আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবো।