তিন পার্বত্য জেলায় ৭ দিনের মধ্যে সকল ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ


আলমগীর মানিক    |    ০১:৩৯ পিএম, ২০২৫-০১-০৫

তিন পার্বত্য জেলায় ৭ দিনের মধ্যে সকল ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

পার্বত্য তিন জেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু না করতে পারে সে ব্যাপারে ১ সাপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসকদের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ প্রদান করেছেন হাইকোর্ট।

প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

পার্বত্য তিন জেলার লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (HRPB) একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। উক্ত রিট পিটিশন শুনানি শেষে আদালত বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন। এ বিষয়ে বিবাদীগিণ এখন পর্যন্ত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এবং আদালতে কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কোন প্রতিবেদন দাখিল না করায়, অদ্য ০৫.০১.২০২৫, HRPB- এর পক্ষে আদালতে একটি আবেদন করে উল্লেখ করা হয় যে, অক্টোবর ২০২৪ থেকে এপ্রিল ২০২৫ ইট উৎপাদন ও ভাটা পরিচালনার মৌসুম। এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে এবং করতে যাচ্ছে যা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত হুমকি স্বরূপ। অবৈধ ইট ভাটাসমূহ যাতে কার্যক্রম শুরু করতে না পারে এ বিষয়ে আদালতে আবেদনটি দাখিল করা হয়।

আজ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদনটির উপরে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশ প্রদান করেন যে, ১ সপ্তাহের মধ্যে জেলা প্রশাসক নিজ নিজ এলাকার অবৈধ ইটভাটার মালিকরা যাতে তাদের কার্যক্রম শুরু না করতে পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং উক্ত কার্যক্রম সম্পর্কে আগামি ২ সাপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

এছাড়াও যে সকল বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন, জেলা প্রশাসক বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি। 

শুনানিতে রিটকারী HRPB এরকৌশলী সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন যে, অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম শুরু হলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। এছাড়া তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম যাতে শুরু করতে না পারে সে মর্মে নির্দেশনা না দিলে এসব অবৈধ ইনভাটাগুলো পুনরায় আবার এ মৌসুমী কাজ শুরু করবে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে।

HRPB-এর পক্ষে আবেদনকারী হলেন এডভোকেট মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী সহ ২ জন এবং উক্ত রিট পিটিশানে বিবাদীরা হলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সহ মোট ২৪ জন।

HRPB-এর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ, তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল, এডভোকেট এখলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট নাসরিন সুলতানা ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডিএজি মোঃ তানিম খান।