সাজেকে পর্যটক গমনে জেলা প্রশাসনের নিরুৎসাহিতকরণ পত্র


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১০:৫৭ পিএম, ২০২৪-১২-০৩

সাজেকে পর্যটক গমনে জেলা প্রশাসনের নিরুৎসাহিতকরণ পত্র

আলমগীর মানিক

পাহাড়ে চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করণে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এই নির্দেশনায় পত্র জারি করা হয়েছে। 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবাইদা আক্তার স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয়, উপযুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ও তার পাশর্^বর্তি এলাকার আইনশৃঙ্খলা সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসকল এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আগামী ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ভ্রমনে নিরুৎসাহিত করা হলো। 

এই স্বারক নাম্বার : ০৫.৪২.৮৪০০.৪০২.০৩.০০১.২৪-১১৪৩ এর মাধ্যমে জারিকৃত উক্ত পত্রে জানানো হয়, ইহা সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।   

এদিকে সাজেকের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে আধিপত্যের লড়াইয়ে লিপ্ত থাকা উপজাতীয় আঞ্চলিকদলীয় সন্ত্রাসীরা তাদের আধিপত্য বিস্তারে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে। 

মঙ্গলবারও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক হাজার রাউন্ড গুলি বিনিময় করেছে। মুর্হুমুহু গুলির শব্দে স্থানীয় পুরো বাঘাইছড়ি উপজেলাজুড়ে চরম আতঙ্কময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

সামনের ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের আগমনে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে, 

‘সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা’র কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে সতর্ক করেছে যুক্তরাজ্য।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জানা গেছে- সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের ভেতরে হামলা চালাতে পারে। বাংলাদেশের কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তার ঝুঁকি আছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের নাম উল্লেখ করে এফসিডিও বলছে, বাংলাদেশের কিছু এলাকায় সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বিরোধ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও এই সতর্কতা জারিতে ভূমিকা রেখেছে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কিছু অংশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভ্রমণকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এক্ষেত্রে ব্রিটিশ নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে ভ্রমণের সময় সতর্ক থাকা এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বানও জানানো হয়েছে।

এছাড়া নিরাপত্তাজনিত তথ্য জানার জন্য এফসিডিও’র ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।