পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে পাহাড়ি-বাঙালি সমসংখ্যক সদস্য নিয়োগে হাইকোর্টের রুল


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৮:৫৪ পিএম, ২০২৪-১১-২৯

পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে পাহাড়ি-বাঙালি সমসংখ্যক সদস্য নিয়োগে হাইকোর্টের রুল

বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে সদস্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পাহাড়ি-বাঙালি সমসংখ্যক সদস্যের দাবিতে করা একটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করেছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. একরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন বান্দরবানের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী মহতুল হোসাইন যত্ন। তিনি নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করবেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

রিট আবেদনকারী জানান, দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে প্রতিটি পরিষদে কেন পাহাড়ি, বাঙালি সমানসংখ্যক সদস্য নিয়োগ হবে না- তার কারণ জানাতে রুল জারি করেন।

বিজ্ঞ আদালতের আদেশে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক ৩টি প্রজ্ঞাপন জারি করে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ১ জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন সদস্য সমন্বয়ে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করে। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন ৩টি পরিষদই ইতোমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

১৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদগুলোতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী থেকে ১১ জন এবং বাঙালি জনগোষ্ঠী থেকে ৪ জন করে সদস্য নেওয়া হয়।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটার দিন থেকে এই তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদে আওয়ামী সরকার মনোনীত চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ দায়িত্ব পালনে অনুপস্থিত থাকায় সরকার নতুন পরিষদ নিয়োগ দেয়।

১৯৮৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে ৩ বছর মেয়াদি পরিষদগুলোর মেয়াদ শেষে ক্ষমতাসীন সরকারের মনোনীত পরিষদ দ্বারা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ও পরিবার কল্যাণসহ সরকারের ২৮টি বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে ন্যস্ত রয়েছে।