রাঙামাটিতে জলবন্দি ৫শ পরিবারকে তারেক রহমানের ত্রানোপহার পৌছে দিলো বিএনপি


আলমগীর মানিক    |    ১১:০১ পিএম, ২০২৪-০৯-২৭

রাঙামাটিতে জলবন্দি ৫শ পরিবারকে তারেক রহমানের ত্রানোপহার পৌছে দিলো বিএনপি

আলমগীর মানিক

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বন্যায় আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার ধারাবাহিকতায় কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধিতে রাঙামাটি শহরে জলবন্দি ৫’শতাধিক পরিবারের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে রাঙামাটি জেলা বিএনপি।

শুক্রবার বিকেলে রাঙামাটি শহরের পৌর এলাকার আওতাধীন গর্জনতলী, ইসলামপুর, শরীয়তপুর, পুরান পাড়া’সহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যায়দুর্গত পরিবারগুলোর মাঝে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় পরিবার প্রতি প্রায় ১ কেজি পরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে রাঙামাটি জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

এসময় জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মামুনুর রশিদ মামুন, সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক রিংকু চাকমা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক দেবজ্যোতি চাকমা, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সম্পাদক রনেল দেওয়ান, পৌর বিএনপির সভাপতি শফিউল আজম, সম্পাদক মাহবুবুল বাসেত অপু, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন বালি, মাহবুবুল ইসলাম মিন্টু, মোঃ ইলিয়াস, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মমতাজ মিয়া, জেলা কৃষক দলের সভাপতি অলোক প্রিয় চৌধুরি রিন্টু, জেলা জাসাসের সভাপতি কামাল হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ফনিন্দ্র চাকমা, জেলা তাঁতি দলের সংগঠনিক সম্পাদক রতন মহাজন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সালেহা আক্তারসহ, ছাত্রদল যুবদল এবং বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় উক্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
 
উল্লেখ্য, গত একমাসে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে এক লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে করে মানুষজনের কৃষিজপণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি সাধণ হয়। কৃষি বিভাগের তথ্যানুসারে রাঙামাটিতে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর কৃষিজ জমির ফসল বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে প্রায় ১৫ হাজার কৃষক পরিবার ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এখনো পর্যন্ত এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি অত্রাঞ্চলের মানুষজন।