রাঙামাটিতে কুরবানির পশু নিয়ে পদে পদে চাঁদাবাজি !


মোঃ সোহরাওয়াদ্দী সাব্বির    |    ০৯:০৪ পিএম, ২০২৪-০৬-০৯

রাঙামাটিতে কুরবানির পশু নিয়ে পদে পদে চাঁদাবাজি !

আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর ক্রয়-বিক্রি। কোরবানির বাজার কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পশু ব্যবসায়িরা উপজেলা গুলো থেকে রাঙামাটি শহরে আনছে কোরবানির পশু। এখান থেকে যাচ্ছে চট্টগ্রাম শহরে। তবে এসব পশু আনতে ব্যবসায়িদের প্রতি পদে পদে দিতে হচ্ছে চাঁদা।  চাঁদার শুরুটা হয় রাঙামাটির লংগুদুর মাইনী বাজার থেকে।

চাঁদাবাজির প্রথমধাপ শুরু হয় দুর্গম পাহাড়ের আঞ্চলিক দল গুলোর  কাছে দেওয়া চাঁদা থেকে। আঞ্চলিক দল গুলোর কাছে গরু প্রতি দিতে হয় -৩০০ টাকা করে।  এর পর দ্বিতীয় ধাপে  মাইনী বাজারের হাসিল, প্রতি গরু ১৬০০ টাকা ,  আবার সুবলং আঞ্চলিক দলের কাছে গরু  প্রতি দিতে হয়  ৩০০ টাকা,

বোট ভাড়া করে রাঙামাটি শহরে কাপ্তাই হ্রদের তীরে ভীড়লেই পৌরসভার নামে নেওয়া হচ্ছে ১৪০ টাকা। এবার ব্যবসায়িরা  কোরবানি পশু নিতে চায় চট্টগ্রাম।  এতে ও রেহাই নেই চাঁদাবাজি থেকে। শুরুটা হয় ট্রাক ভাড়া করার সময় থেকে।  


ট্রাক ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রাক সমিতির নামে আদায় হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। এরপর নিয়ে যাওয়ার সময় পৌরসভার  ডাকা কোরবানি পশুর  হাট বাজার   ট্রাক টার্মিনালে হাসিলের নামে   প্রতি গরু থেকে নেওয়া  হচ্ছে  ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা।

নয়তো হাজারে ২০ টাকা করে। এর পর শহরের ভেদভেদীতে পৌরসভার টোল আদায়ের নামে  নেওয়া হচ্ছে প্রতি গরু ১০০ টাকা করে। শহর থেকে বের হতে মানিক ছড়ি। এতে সদর  উপজেলার প্রদত্ত অক্টোরিতে  নেওয়া হচ্ছে গরু প্রতি  ১০০ থেকে ৩০০শ টাকা, দেওয়ার পর ও নেই  চাঁদা নেওয়া শেষ, সেখানে বিভিন্ন খাতের জন্য চাঁদা দাবি করছে বিভিন্ন গ্রুপ গুলো।  


এরপর পার হচ্ছে  মানিকছড়ি, সামনে বসে আছে ঘাগড়া- বেতবুনিয়া স্থানীয় সরকার পরিষদের টোল আদায়।  এগুলোতে প্রতি গরু  নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা করে।  ব্যবসায়ীরা জানান, এর বাইরেও প্রকৃত ব্যবসায়িরা প্রতি সিজনে আঞ্চলিকদলের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার টোকেন কাটতে হয়।  এতো এতো চাঁ-দা আদায় পৃথিবীর আর কোনো জায়গায় হয় কিনা সেটি এখনো জানেন না তারা ।  এসব হয়রানি থেকে মুক্তি দাবী ব্যবসায়িদের।