রাঙামাটি ইয়ুথ সামিটের মাধ্যমে নেক্সটজেন রাঙামাটির যাত্রা শুরু


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৪:১৭ পিএম, ২০২৩-১১-১৬

রাঙামাটি ইয়ুথ সামিটের মাধ্যমে নেক্সটজেন রাঙামাটির যাত্রা শুরু

রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ মিলনায়তনে রাঙামাটি ইয়ুথ সামিটের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলো নেক্সটজেন রাঙামাটি। 'গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রিনিউরশীপ সপ্তাহ-২০২৩' ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার ইয়ুথ সামিট এর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলো নেক্সটজেন রাঙামাটি শাখা। 

বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। 

নেক্সটজেনের রাঙামাটি কো-অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি) এর সভাপতিত্বে ও বোর্ড পরিচালক মো: ওয়াইস উদ্দীন আকবর ও সাইদা জান্নাতের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন-  উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, রাঙামাটি যুব উন্নয়নের ডেপুটি ডাইরেক্টর মোহাং শাহজাহান, রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, স্টাার্টআপ রাাঙামাটির পরামর্শক আদনান পাশা সুজা, নেক্সটজেন বাংলাদেশ ও স্টার্টআপ হাডল চট্টগ্রাম এর প্রতিষ্ঠাতা সোমেন কানুনগো ও নেক্সটজেন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর ওয়াহেদ মুরাদ। 

উপস্থিত ইয়ুথদের নিয়ে সেশন পরিচালনা করেন

গ্লোবাল এন্ট্রারপ্রিনিউরশীপ নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম হাসান রিপন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান বলেন, "রাঙামাটিতে বিনিয়োগের সকল সম্ভাবনা বিদ্যমান এবং উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ থাকায় যেকোন উদ্যোগ সফল হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্যোগতাদের জন্য বর্তমান সরকার ১০০ কোটি টাকার স্টার্টআপ ফান্ড রয়েছে যা কাজে লাগিয়ে উদ্যোগতারা নিজেদের সফল করে গড়ে তুলতে পারবে। সীমিত সম্পদ দিয়েও যে ঘনবসতিপূর্ণ একটা ছোট্ট দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা যায়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তা প্রমাণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য শিক্ষিত তরুণ প্রজন্মকে চাকরির পিছে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছেন। এজন্য রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনকিউবেটর এবং আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার।"

জিইএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম হাসান রিপন বলেন, তরুণ উদ্যোক্তাদের শুরু থেকেই অনেক বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে হয়। ইনোভেশন এবং ইন্টিগ্রিটি থাকলে যেকোন তরুণ উদ্যোক্তা সফল হয়ে উঠবে। আর তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানের মাধ্যমে মনোভিত্তিক আগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্য ইকোসিস্টেম তৈরি করে নতুন ব্যবসা উদ্ভাবন ও বিকশিত করতে কাজ করছে জিইএন বাংলাদেশ।

নেক্সটজেনের রাঙামাটি কো-অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ-বিন-জাহিদ (মিকি) বলেন, 

"বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জেলা রাঙামাটি বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি হাব হিসেবে বিবেচিত হবে। এজন্য তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনার জন্য জিইএনসহ সকল প্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।"

স্টার্টআপ রাঙামাটির বোর্ড মেম্বার জোবায়ের হোসেন পারভেজ বলেন, "বেকারত্ব একটি অভিশাপ। শুধুমাত্র সঠিক নির্দেশনা না পেয়ে অনেক তরুণ নিজেদের ভাগ্য বদল করতে পারেন না। আমরা স্টার্টআপ রাঙামাটি সেই নিত্যনতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চাই।"

সভায় বক্তারা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য পলিসি নির্ধারণের পাশাপাশি নতুন ব্যবসায়িক উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টির মাধ্যমে ক্যাপাসিটি ডেভেলাপমেন্ট ও কানেক্টিভিটি তৈরীর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আয়োজনের টাইটেল স্পন্সর ছিলো টেক কর্ণার রাঙামাটি এবং ফুড স্পনসর ছিলো বারাকাহ্ ক্যাফে এবং রেস্টুরেন্ট।