সাজেকের দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বিজিবি, সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১০:১২ পিএম, ২০২৩-০৬-০৯

সাজেকের দুর্গম এলাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বিজিবি, সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ

রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম তুইচুই মৌজার লংথিয়ান পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে বিজিবি, সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার যোগে পাঠানো হয়েছে দুজন স্বাস্থ্য সহকারী। বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই দুজন স্বাস্থ্য সহকারী বৃহস্পতিবার দুপুরে পর্যাপ্ত ঐষধপত্র নিয়ে খাগড়াছড়ি হেলিপ্যাড থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এলাকায় বিকেলে পৌছায়। গত বুধবার থেকে শুক্রবার (৯ জুন) বিকেল পর্যন্ত পর্যন্ত দুর্গম লুংথিয়াম পাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিজিবি মেডিকেল টিম ও বাঘাইহাট সেনা জোনের ২০ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের সেবাদান করে যাচ্ছেন।
বাঘাইহাট জোনের মেজর রিয়াদ এর নেতৃত্বে মেডিকেল অফিসার ক্যাপ্টেন মুহাইমেন উর-রশিদসহ ২০ জনের মেডিকেল টিমটি সাজেকের দুর্গম লুংথিয়াম পাড়ায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে রোগীদের সুস্থ করে তুলছে। জরুরী এই চিকিৎসা সেবায় অনেক রোগী অকাল মৃত্যু থেকে রেহাই পেয়েছে।
এব্যাপারে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী হরিণজয় ত্রিপুরা বলেন, লংতিয়ানপাড়ায় আসার পর তিনি ২৮ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাঁরা ঠিকমতো কথা বলতে পারতেন না। তবে তাঁদের স্যালাইন, পেটের ব্যথার ওষুধ দেওয়ার পর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সবাই পেটের ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানায় নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। এক সপ্তাহ আগে থেকে দুর্গম লংতিয়ানপাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। 
বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অরবিন্দ চাকমা বলেন, লংথিয়ানপাড়াটি খুবই দুর্গম। হেঁটে যেতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগে। খবর পেয়ে কাছাকাছি থাকা একজন স্বাস্থ্য সহকারীকে পাঠানো হয়েছে। তারপরও সেখানে পৌঁছাতে তাঁর প্রায় একদিন সময় লেগেছে। বৃহস্পতিবার আরও দুজন স্বাস্থ্য সহকারীকে হেলিকপ্টারে করে পর্যাপ্ত ওষুধসহ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
উল্লেখ্য, সপ্তাহব্যাপী চলমান এই রোগে ৭ জুন ভোরে গবতি বালা ত্রিপুরা (৬০) ও দুপুরে দরুং ত্রিপুরা (৫০) মারা যায়।