পাহাড় থেকে স্থানীয় চক্র পাঁচার করছে কোটি টাকা মূল্যের বন্যপ্রাণী; হাতেনাতে আটক-২


আলমগীর মানিক    |    ০৭:২১ পিএম, ২০২৩-০৫-২৪

পাহাড় থেকে স্থানীয় চক্র পাঁচার করছে কোটি টাকা মূল্যের বন্যপ্রাণী; হাতেনাতে আটক-২

আলমগীর মানিক

পাহাড়ের বিলুপ্ত বন্যপ্রানী অবাধে পাচার করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি চক্র। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের বনাঞ্চল থেকে মূল্যবান বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী পাচার করে আসছে এই চক্রটি। মূলতঃ দূর্গম পাহাড়ি এলাকার স্থানীয় উপজাতীয়দের একটি চক্র বন-জঙ্গল থেকে এসব বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে রাঙামাটি শহরাঞ্চলে নিয়ে আসে।

এখানে বিদ্যমান পাহাড়ি-বাঙ্গালী আরেকটি চক্রের সহায়তায় সমতলের বিভিন্ন স্থানে লাখ থেকে কোটি টাকার বিনিময়ে এসব বিলুপ্ত বন্যপ্রাণী বিক্রির মাধ্যমে পাচার করে আসছে। 
বুধবার এই ধরনের একটি চক্রের দুই সক্রিয় সদস্যকে হাতেনাতে আটক করেছে কোতয়ালী থানাধীন মানিকছড়ি ফাঁড়ি পুলিশ।

বুধবার(২৪ মে) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাসী চালানোর সময় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সিগন্যাল অমান্য করে মোটরসাইকেল আরোহী তিনজন উপজাতীয় ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দেয়। এসময় একজন পালিয়ে গেলেও অপর দুই আরোহী পুলিশের হাতে আটক হয়। 

আটককৃতরা হলো, খাগড়াছড়ির মাইসছড়ির ২৫০ নং লেমুছড়িস্থ পাঁচাই কার্বারী পাড়ার বাসিন্দা সুইনংমং মারমা(৫০)। পিতা: সাথোয়াইউ মারমা, মাতা: মাচিং মারমা। অপরজন হলো, প্রিয়ময় চাকমা(৪০), পিতা: ললিত কুমার চাকমা, মাতা: চন্দ্রবালা চাকমা, সাং-মহালছড়ি।

এসময় আটককৃতদের কাছ থেকে একটি মোটর সাইকেল(ফেনী-ল- ১১৫৪৩৫) ও ব্যাগে ভর্তি বিলুপ্ত প্রজাতির সাতটি তক্ষক উদ্ধার করা হয়। পরে তক্ষকগুলো বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানিকছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নয়ন। 

পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, রাঙামাটি শহরের বনরূপা এলাকা থেকে এই বিলুপ্ত প্রজাতির ৭টি তক্ষকগুলো তারা কিনে নিয়েছেন। 
এদিকে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুল আমিন জানিয়েছেন, বন্যপ্রানি পাচারকারিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি জানান, বন্যপ্রাণী পাচারসহ অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়ে স্থানীয় সচেতনমহল পুলিশকে সহযোগিতা করলে এই ধরনের কর্মকান্ড কমে আসে এবং অপরাধীসকলকেই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এই ক্ষেত্রে তথ্য প্রদানকারীদের সার্বিক নাম-পরিচয় পুলিশের পক্ষ থেকে গোপন রাখা বলেও জানিয়েছেন ওসি আরিফুল আমিন।