পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীগুলোকে মাদক থেকে সড়ে আসতে হবেঃ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা


নুরুল কবির    |    ০৬:৩৯ পিএম, ২০২০-১০-২৭

পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীগুলোকে মাদক থেকে সড়ে আসতে হবেঃ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা

পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সমাজ জুম সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমান বৈশ্বিক যুগে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মানুষের মাঝে। পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও নারী শিশু নির্যাতন রোধে প্রথমে মাদক থেকে সড়ে আসতে হবে। কারণ মাদক নারী ও শিশু নির্যাতনের দিকে মানুষকে ধাবিত করে। সোমবার সকালে বান্দরবানের বেসরকারী সেচ্ছাসেবী সংগঠন বিএনকেএস আয়োজিত যুব সমাবেশের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। 

তিনি আরো বলেন, ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য্য চেতনা যুব সমাজকে এগিয়ে নেয়। গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বাঙ্গালীদের সামাজিক পরিবর্তন এসেছে। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টী সম্প্রদায়ের আইনগুলোর বিষয়ে জেলা পরিষদ কাজ করছে। ইতিমধ্যে মুরুং, বমদের আইন সংশোধন হয়েছে। মারদেরও প্রত্যেকটি গ্রামের জন্য লিখিত আইন থাকলে সঠিকভাবে বিচার করা সম্ভব হবে। এসময় তিনি নারী-শিশুসহ তরুণদের উন্নয়নে অবদান রাখায় বিএনকেএসকে সাধুবাদ জানান।   

বিএনকেএস নির্বাহী পরিচালক হ্লা সিং নু’র সভাপতিত্বে যুব সমাবেশের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসার অংসুই প্রু মারমা, সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, জেলা পরিষদ সদস্য ক্য সা প্রু, সিং ইয়ং ম্রো, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান য়ই সা প্রু মারমা। এছাড়া বিএনকেএস এর প্রোগ্রাম অফিসার মুমু রাখাইন ধারনাপত্র এবং চা উ চিং নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।  

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনকেএস ১হাজার ৩৪৬জন নারী-শিশু মাধ্যমে কথা বলে একটি গবেষণার চিত্র তুলে ধরেন। তাদের তথ্যমতে, চলতি বছরের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বান্দরবান জেলায় মোট ১১২জন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তারমধ্যে শারীরিক নির্যাতন ১৭জন, মানসিক নির্যাতন ১৯জন, অর্থনৈতিক নির্যাতন ৩৭জন, যৌন নির্যাতন ২জন এবং তালাকপ্রাপ্ত ৫জন, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশু ৮জন। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ১জন, ১২শিশু মানসিক নির্যাতন, বাল্য বিয়ে ৪, নির্যাতনের পর হত্যার শিকার হয়েছে ১শিশু ও ১নারী। এই সময়ে ৭জন নারী আত্মহত্যা করেছে, ৮০জন পারিবারিক নির্যাতনের শিকার এবং অন্যান্য সহিংসতার শিকার হয়েছে ৩২জন শিশু ও নারী।