বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে পিসিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ১১:৩৩ এএম, ২০২৩-০৩-১৭

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে পিসিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনীর টহল দলের উপন সশস্ত্র সন্ত্রাসী  (কেএনএফ) কতৃক গুলুবর্ষণ করে মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ নাজিম উচদ্দীনকে হত্যা ও রুমা উপজেলায় নির্মান শ্রমিকদের উপর গুলিবর্ষণ এবং অপহরণের প্রতিবাদের রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ। 
শুক্রবার সকালে রাঙামাটি পৌর চত্ত্বর থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল  বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে শহরের বনরুপা পুলিশ বক্সের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেন। এসময় ঘন্টা ব্যাপি সড়ক অবরোধ করে এই সমাবেশ পালন করেন তারা।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন,  পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান। 
এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু বক্কর এর সভাপতিত্বে,নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. আলমগীর কবির,  রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারণ মোহাম্মদ সোলাইমান,  ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. নজুরুল ইসলাম,  মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদা আক্তার,  ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি মো.হাবিব আজম সহ সংশ্লিষ্টরা  উপস্থিত ছিলেন। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন,  পার্বত্য চট্টগ্রাম কে আলাদা একটা জুমল্যান্ড করার উদ্দেশ্য সন্তুর লার্মা ঘৃণিত  ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।  এই ষড়যন্ত্রের ফলপ্রসূ করতে এই পার্বত্য এলাকায় বিভিন্ন নামে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন গড়ে তুলছে। তারা আরো বলেন, ২রা ডিসেম্বর  পার্বত্য চুক্তি হলে ও এখনো পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত   হয়নি।  পার্বত্য চুক্তিতে অবৈধ অস্ত্র জমাদানের কথা উল্লেখ থাকলেও তারা অস্ত্র জমা দেননি। তা দিয়ে  আজ আমাদের উপর  নানা নির্যাতন, খুন, গুম,চাঁদবাজী থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর গুলিবর্ষণ করে সেনা সদস্যদের হত্যা করে যাচ্ছে। 

বক্তারা আরো বলেন- দেশপ্রেমিক শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। যারা সেনা সদস্য মাষ্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করেছে এবং বাঙালি শ্রমিকদের গুলি করে আহত করাসহ নিরীহ মানুষ অপহরণ করেছে তাদের বিষ দাঁত উপড়ে ফেলতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে যদি প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তাহলে দেশপ্রেমিক জনতা কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে। আমরা আর বসে থাকবো না। যেখানে সেনাবাহিনী হত্যার শিকার হয় সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায়। কেউ নিরাপদে নেই। মানুষ এক আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম আজ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকার ও প্রশাসনের নিকট জোর আহ্বান করছি।
যদি  দাবী  আদায় না হয় পার্বত্য চট্টগ্রামকে অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।