কাউখালীতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ পিতা গ্রেফতার


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৩:০৪ পিএম, ২০২৩-০৩-১৬

কাউখালীতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ পিতা গ্রেফতার

রাঙামাটি কাউখালীতে সৎ পিতা কর্তৃক ২০ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষন ও যৌনপীড়নের অভিযোগে সৎ পিতা রাজু বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা (৪২)কে গ্রেফতার করেছে কাউখালী থানা পুলিশ।উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়ের পাগলী পাড়াতে কার্বারী সালিশ বৈটক চলা কালে তাকে গ্রেফতার করা হয়।আটককৃত রাজু বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা (৪২) উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের পাগলীপাড়া এলাকার মৃত জয়লাল তঞ্চঙ্গ্যা ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ বছর পূর্বে ভিকটিমের বাবার সাথে ডিপোর্স হওয়াতে মা   এলাকার রাজু বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা সাথে ২য়বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মেয়ের বয়স ১৩হওয়ার পর থেকে লম্পট সৎ বাবার লালসার স্বীকার হয় ওই মেয়ে। ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়া কালীন প্রথম ধর্ষনের স্বীকার হোন মেয়ে এবং এ কথা যদি কারো কাছে প্রকাশ কর তাহলে তোকেসহ তোর মাকে খুন করে ফেলবে বলে হুমকী দেন।এর পর থেকে নানা সময়ে পাশবিক নির্যাতন চালায় পিতা নামের পাষন্ড নর পশু।

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা জানায়, তার মেয়েটি ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়া কালীন প্রথম ধর্ষনের শিকার হই। মেয়েটি ঐ ঘটনার পরদিন মাকে জানায়, মা অভিযুক্ত ধর্ষক পিতাকে জানালে মারধর করে মাকে । এর পর মাঝে মাঝেই মদ পান করে তার সৎ বাবা তাকে কুপ্রস্তাব দিত। ওই প্রস্তাবের বিষয়ে মাকে জানালে বিষয়টি দেখবে বলে জানায়। কিন্তু মা হয়ে তিনি মেয়ের ইজ্জত রক্ষা করতে পারেনি উভয়ে বিভিন্ন সময় মারধরের শিকার হন। গত ১০ই ফেব্রুয়ারি  রাতে পূনরায় মদ খেয়ে মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টা করলে মেয়েটি মাকে জানায়,এসময় ভিকটিম মেয়েকে মেরে কান কেটে দেয় সাথে মাকে মেরে পেলার চেষ্টা করে।এসময় ভিকটিম মেয়ে ও মা ঘর থেকে পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় পাড়ার কার্বারী লক্ষী কুমার তঞ্চঙ্গ্যাকে বিচার দেয়।

বুধবার রাতে কারবারি আদালতে বিচার চলা কালীন সময়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে খবর আসে ধর্ষনের ঘটানাটি মারধরের ঘটনা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।দুর্গমপাহাড়ী এলাকা হওয়াতে গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় কাউখালী থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে নরপশু পিতাকে গ্রেফতার করে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

কাউখালী থানা অফিসার ইনচার্জ পারভেজ আলী জানান,ভিকটেমের মা বাদী হয়ে ধর্ষন কারি সৎ পিতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছে।আমরা অভিযুক্তকে আদালতে পাঠিয়েছি।