কৃষিকে আধুনিকরণ করতে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; তথ্যমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০৮:৪৪ পিএম, ২০২৩-০৩-১১

কৃষিকে আধুনিকরণ করতে কাজ করছেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; তথ্যমন্ত্রী

কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সব অর্জনে শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। কৃষিকে আধুনিকরণ  করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি হালের বলদের অভাবে কৃষক ছেলের কাঁধে জোয়াল তুলে লাঙল টানছে এ ছবি দিয়ে এখন আর সংবাদ হয়না। জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে বর্তমানে আস্থার সংকট নেই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৃষ্টি রয়েছে। বিচ্ছিন্ন যেসব ঘটনা ঘটছে তা শুধু চাঁদাবাজির জন্য। শনিবার (১১মার্চ) সকালে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ কৃষক লীগ খাগড়াছড়ি জেলা শাখা'র বর্ণাঢ্য ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য- সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ.এমপি। এ সম্মেলনে প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল "কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও"।
এ দিন সম্মেলনের জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পতাকা উত্তোলনের পরপরেই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ. এমপি এবং সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক পিন্টু ভট্টাচার্য এবং সঞ্চালনা করেন জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব খোকন চাকমা। এ সম্মেলনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আজ জলে, স্থলে ও আকাশে শেখ হাসিনার বিচরণ। বিগত ১৪বছর পূর্বে পার্বত্য এলাকার দৃশ্য আর আজকের পার্বত্য এলাকার দৃশ্য অসম্ভব রকম ভাবে পরিবর্তন। উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। এটা সম্ভব হয়েছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে। আজ বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বপ্ন দেখছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ পাবো। তার জন্য আমাদেরকে স্মার্ট হতে হবে। আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের সরকার। আওয়ামী লীগ সরকার জনবান্ধব ও জনগণের সরকার।
আলোচনা সভা শেষে সভাপতি হিসেবে পিন্টু ভট্টাচার্য, সিনিয়র সহ-সভাপতি তাজ্জন বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে খোকন চাকমাসহ ৫সদস্য বিশিষ্ট জেলা কৃষকলীগের নাম ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩মাস পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটিদের নাম মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে।
এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদা) ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বাংলাদেশ কৃষক লীগ সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অঞ্চলের আহ্বায়ক আকবর আলী চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগের বাংলাদেশ কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সমন্বয়ক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ।
১০ ডিসেম্বর সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে হবে-মির্জা ফখরুলের এমন হুঙ্কারকে উদ্বৃত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে গিয়ে তারা চিতপটাং হয়ে গেছেন। এরপর দড়ি ধরে টান দিলে দড়ি ছিঁড়ে হামাগুড়ি দিতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমানের দেশের পরিবর্তন সহ্য হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার অন্তর জ্বলে যাচ্ছে আর মির্জা ফখরুল বকবক করছেন।
সরকারের ভিত অনেক গভীরে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ কৃষক-শ্রমিকের দল। আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেইনি। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো।