নিজস্ব প্রতিবেদক | ০৬:৩০ পিএম, ২০২০-১০-২৬
যুদ্ধাপরাধের মামলা করে বিপদে পড়েছে রাঙামাটির লংগদুর এক পরিবার। এ পরিবারের লোকজন প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচাতে বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। জীবনের নিরাপত্তার দাবী জানিয়ে সোমবার রাঙামাটিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী গুলশাখালী ইউপি’র ১,২,৩ ওয়ার্ডের নারী ইউপি মেম্বার শাহিনা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযুক্ত রাঙামাটি লংগদু উপজেলাধীন গুলশাখালী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবীও জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ১৯৭১ সালে রাজাকার বাহিনী আশরাফ আলীকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। রাজাকার বাহিনীর সদস্য হয়ে এ ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিল রহিম চেয়ারম্যান। এ ঘটনার যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আশরাফ আলীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম। এ মামলার পর থেকে রহিম ক্ষিপ্ত হয়েছে তার আত্মীয় স্বজন যেখানে পায় সেখানে হামলা করছে। মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
সর্বশেষ গত ১৯ অক্টোবর রহিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লংগদুর গুলশাখালীতে হামলা চালায়। এতে ফাতেমার মেয়ে গুলশাখালী ইউপি সদস্য শাহিনা বেগম, জামাই নাজিম উদ্দিন গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় রাঙামাটি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হলেও আসামীরা গ্রেফতার হয়নি। এরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহিনা বেগম। এসময় তার পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শাহিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন,গত ১৯ অক্টোবর ভিজিডি কার্ড অবৈধভাবে না দেওয়ার অযুহাতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার তার স্বামী নাজিম উদ্দিনের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় আগে ওৎপেতে থাকা রহিম চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসীরা। ওই সময় এলোপাতারি লোহার রড ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শাহিনা বেগমের স্বামী নাজিম উদ্দিনের মাথা ফাটিয়ে এবং হাতে রগ কেটে গুরুতর আহত করে সন্ত্রাসীরা। স্বামীকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল গিয়ে হাজির হলে ইউপি সদস্য শাহিনা বেগমকেও মাথা ফাটিয়ে গ্রুতর আহত করা হয়। নাজিম উদ্দিনের কাছে থাকা গরু বিক্রির ৬৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে শাহিনা বেগম ও তার স্বামী নাজিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। পরে গুরুতর অবস্থায় দু’জনকেই রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। শাহিনা বেগম বলেন, ঘটনার বিষয়ে লংগদু থানায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী বলে মামলা নেয়নি পুলিশ।
ঘটনার দুই দিন পর ২১ অক্টোবর শাহিনা বেগমের বোন হোসনে আরা বেগম বাদী হয়ে রাঙ্গামাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেটের আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলার আসামিরা হল- আবদুল গনি (৫২), বাবুল মিয়া (৪০), জিল্লুর রহমান (৫০), রেজাউল টেইলার (২৩), হানিফ মিয়া (৩২), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম ও হেলাল উদ্দিন।
ঘটনার বিষয়ে আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার বিষয়টি আমি শুনেছি। কিন্তু কী কারণে ঘটেছে, তা আমি কিছুই জানি না। প্রকৃত ঘটনা হল- ওই নারী ইউপি সদস্য ভিজিএফ কার্ড দেয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তার জেরেই ঘটনাটি ঘটতে পারে। আর আমার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা মামলা হয়েছে। সেটিকে কেন্দ্র করে বারবার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হয়ে থাকে।
গোলামুর রহমান-লংগদু : পাহাড়ী বাঙ্গালী অয পাড়ার ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আইসিটিতে পারদর্শী এবং ডিজিটাল মিডিয়া সম্...বিস্তারিত
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েট এর অন্তর্ভুক্ত আস্থা প্রকল্পের ইয়ুথ গ...বিস্তারিত
স্মৃতিবিন্দু চাকমা : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জুরাছড়ি উপজেলায় দরিদ্র জেলেদে...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক আগামী ৮ই মে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে নি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের ১৪৯নং গুইচড়ি মৌজার চান্দবী ঘাট পাড়ায় প্রত্যন...বিস্তারিত
নুরুল কবির : ক্ষমতাসীনরা সিন্ডিকেট করে বাজারের দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিট...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited