জুরাছড়ির ফকিরাছড়ি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দেখার কেউ নেই!


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০২:০৩ পিএম, ২০২৩-০২-০৭

জুরাছড়ির ফকিরাছড়ি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দেখার কেউ নেই!

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন জুরাছড়ি উপজেলা সদর থেকে ৩ নং মৈদং ইউনিয়নে ফকিরাছড়ি এলাকার দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। নেই কোন যোগাযোগের সুুব্যবস্থা পায়ে হেঁটে গন্তব্য স্থলে যেতে হয়। শিক্ষা সহ সকল ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া এখানকার মানুষের  মূল জীবিকা হচ্ছে জুুমচাষ। সারাবছর কষ্টকরে ৬ মাসের খোরাকী সংগ্রহ করে অবশিষ্ট দিনগুলো নুন আনতে পান্তা পুরাই তাই তাদের পক্ষে কই জনের বা সামার্থ্য রয়েছে শহর কিংবা উপজেেলা সদরে গিয়ে বছরে ৫০ হাজার টাকা অন্যজনের বাড়িতে ভাড়া দিয়ে পড়াশোনা করা! এখানকার ছেলেমেয়েরাও তো হতে মানুষের মত মানুষ। কিন্তু অনেক ছেলেমেয়ে পরিবারের  আর্থিক অনটনের কারণে পড়ালেখা বন্ধ করতে হয়েছে বিগত দিনগুলোতে। এলাকার মুরুব্বিরা অধম্য সাহজ করে বিগত  ২০০৪ সালে স্থাপন করেন ফকিরাছড়ি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়। দীর্ঘ বছর বহু ত্যাগ স্বীকার করে  বিগত ১৮ জুলাই ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি পাঠদানের অনুমোদন লাভ করতে পেরে বর্তমান সরকারের প্রতি এলাকার মানুষ এবং শিক্ষকেরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন  করেন । সরেজমিনে উক্ত এলাকায় গিয়ে কথা হয় স্থানীয় মুরুব্বীদের সাথে তারা বলেন বর্তমান  সরকার সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য অঞ্চলেও  শিক্ষা সহ নানা মূূখী দৃশ্যমান উন্নয়ন করে যাচ্ছে। অত্যন্ত দুঃঃখের সাথে বলতে হচ্ছে ফকিরাছড়ি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি দেখার  কেউ নেই শুধুমাত্র বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জুরাছড়ি জোন কর্তৃক শিক্ষকদের কিছুতা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকেন।  নেই কোন বিদ্যালয়ের মানসম্মত একাডেমিক ভবন নেই স্বাস্থ্য সম্মত  ছাত্রছাত্রীদের টয়লেটের সু ব্যবস্থা পুরানো জ্বরাজীর্ণ টিনের ভেড়াঘরে কোনমতে পাঠদানের করে যাচ্ছি। জুমিয়া পরিবারের দ্বারা বিদ্যালয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন করা সম্ভবহীন। এখন অতিব প্রয়োজন  সরকারের পৃষ্ঠ পোষকতা  তাই মাননীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার সহ জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড যদি  বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষে সু দৃষ্টি কামনা করেন এলাকার জনগণ এবং পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটলে এখানকার শিক্ষার পরিবেশ অনেকটা পরিবর্তন ঘটবে ভবিষ্যতে হয়ে উঠবে এরা উজ্জ্বল নক্ষত্র। 

বিগত ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাসিক সভায় গিয়ে এমই কষ্টের কথাগুলো তুলে ধরেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ৩ নং মৈদং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাধনানন্দ চাকমা প্রধান শিক্ষক লাল কুমার চাকমা।  শুধু তাই নয় পাশ্ববর্তী রয়েছেন ৪ নং দুমদুম্যা ইউনিয়নের জনগণ তাদের ছেলেমেয়েরা বর্তমানে এই নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যাচ্ছে। সুতরাং বিদ্যালয়টি যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সু নজরে দেখে তাহলে প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।