ভৌগোলিকগত প্রতিকূলতা কাটিয়ে পাহাড়ে সীমান্ত সড়ক নির্মান বেশ দুরূহ : সেনাপ্রধান


আলমগীর মানিক    |    ০৩:২২ পিএম, ২০২৩-০১-৩০

ভৌগোলিকগত প্রতিকূলতা কাটিয়ে পাহাড়ে সীমান্ত সড়ক নির্মান বেশ দুরূহ : সেনাপ্রধান

পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সড়ক প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। 

তিনি আজ ৩০ জানুয়ারি দুপুরে  রাঙ্গামাটির রাজস্থলী থেকে দুমদুম্যা সাইচল অংশে  নির্মানাধীন ১৩৭ কি মি  সড়ক প্রকল্প কাজ পরিদর্শন করেন। 

পরিদর্শনকালে  চট্টগ্রামের জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, ২৬ ইসিবির অধিনায়ক লে কর্নেল এইচ এম মোহাইমিন বিল্লাহসহ সেনাসদর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ঊর্ধ্বতন সেনা  কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক নির্মান কাজ পরিদর্শন করে স্থানীয় সাংবাদিকদের সেনা প্রধান বলেন,বাংলাদেশ সেনা বাহিনী কাজের গুনগতমান ঠিক রেখে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভৌগোলিক গত প্রতিকূলতা কাটিয়ে এ সীমান্ত সড়ক নির্মান বেশ দুরূহ বলেও উল্লেখ করেন  তিনি।

উল্লেখ্য পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সীমান্ত সড়ক (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা) নির্মাণ (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

সীমান্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জুন ২০১৮ থেকে জুন ২০২৪ পর্যন্ত। প্রকল্পটি রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এ তিন পার্বত্য জেলায় চলমান রয়েছে, যার সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার। প্রকল্পটি দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ের ৩১৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ সাতটি সেগমেন্টে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে দ্বিতীয় পর্যায় সম্পন্ন করা হবে।

প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হলে পার্বত্য জেলাসমূহের সীমান্ত বরাবর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন, সীমান্তের দুই পাশের অবৈধ ব্যবসা (অবৈধ অস্ত্র, মাদক, মানব পাচার ইত্যাদি) বন্ধ, পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ব্যবসা ও বাণিজ্যের প্রসার এবং সীমান্ত এলাকার কৃষি পণ্য দেশের মূল ভূখণ্ডে পরিবহনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি পার্বত্য জেলাসমূহের মধ্যে আন্তঃআঞ্চলিক সংযোগ স্থাপন হবে, যা নিরাপত্তা কার্যক্রম ও শান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।