“সাংবাদিকরা স্থানীয় উন্নয়নে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে; রাবিপ্রবি উপাচার্য ড. সেলিনা


নিজস্ব প্রতিবেদক    |    ০২:১২ এএম, ২০২২-১১-২৪

“সাংবাদিকরা স্থানীয় উন্নয়নে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে; রাবিপ্রবি উপাচার্য ড. সেলিনা

রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেছেন, সাংবাদিকদের লেখনির দ্বারা এক সময়ের পিছিয়েপড়া পার্বত্য চট্টগ্রামকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখতে হবে। একটি সত্য কথা প্রকাশ করতে গেলে সাংবাদিকদের নানান সমস্যায় পড়তে হয়। তারপরও এগিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষাই জাতিকে আলোর পথে নিয়ে যেতে পারে, যুগযুগ ধরে পিছিয়ে পড়া এই জনপদে উচ্চ শিক্ষার পথ প্রসারিত হয়েছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলার মাধ্যমে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চেয়ে ভিসি আরো বলেন, পাহাড়ের জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। রাঙামাটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশেই নয়; একদিন বিদেশেও নামকরা একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

তিনি বুধবার রাঙামাটি প্রেসক্লাবের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাঙামাটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপাচার্য আরো বলেন, সাংবাদিকরা স্থানীয় উন্নয়নে অনেক বড় অবদান রাখতে পারে। তাদের লিখনীর মাধ্যমে একটি অঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরার মাধ্যমে অত্র এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, কখনো হলুদ সাংবাদিকতার আশ্রয় নেয়া যাবে না।

রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তুষার কান্তি বড়–য়া, রাঙামাটি পাবলিক কলেজের অধ্যক্ষ তাছাদ্দিক হোসেন কবির, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি একেএম মকছুদ আহম্মেদ, সাবেক সভাপতি সুনীল কান্তি দে, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। এছাড়া জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সত্য লিখনীর মাধ্যমে সাংবাদিকরা সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। সাংবাদিকরা মাঠে-ময়দানে যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রতিদিন আমাদের সামনে উপস্থাপন করছে সেগুলোর মাধ্যমে আমরা সমাজের প্রকৃতি অবস্থা নিরুপণ করতে পারি।

জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে। আর এক্ষেত্রে একসাথে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে সাংবাদিকদেরও। পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের সাথে সহযোগিতা এবং তথ্য আদানপ্রদানের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। এর আগে সকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যূরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়।