পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪ পূর্ণার্থীর তীর্থ ভ্রমণে শান্তির পথে যাত্রা


আল মামুন    |    ১০:৪৩ পিএম, ২০২২-১০-২৮

পার্বত্য চট্টগ্রামের ৫৪ পূর্ণার্থীর তীর্থ ভ্রমণে শান্তির পথে যাত্রা

পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি,রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার ৫৪ পূর্ণার্থীর ভারতের পথে তীর্থ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে খাগড়াছড়ি থেকে। শুক্রবার সকাল ১১টায় মহাজনপাড়ার সীবলী বৌদ্ধ বিহার সামনে থেকে বৌদ্ধ মৈত্রী তীর্থ দর্শন ভ্রমন পরিক্রমা সংস্থার ব্যানারে এ তীর্থ ভ্রমনের ভারতের পথে যাত্রা শুরু করেন পূর্ণার্থীরা। 

তীর্থ ভ্রমণে এবার বাংলাদেশের বেনাপোল হয়ে সড়ক পথে বৌদ্ধধর্মপ্রাণরা ধ্যান সাধনাসহ ধর্মীয় ইতিহাস জানতে তীর্থস্থান এবার এ ৫৪ পূর্ণার্থী যাবেন, দর্শণীয় স্থান-কলকাতা, শান্তি নিকেতন, দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, বুদ্ধগয়া, রাজগীর, বৈশালী, কুশীনগর, কপিলাবস্তু, লুম্বিনী, শ্রাবস্তী, দিল্লি, আগ্রা, সারনাথ।
এ তীর্থ ভ্রমনের রয়েছে অনেক নির্দেশনাও। প্রত্যেককে ধর্মীয় দৃষ্টি ভঙ্গিতে কায়িক বাচনীক মাঙ্গলিক সর্বদা সচেতন থাকার পাশপাশি প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও এ তীর্থ ভ্রমণে প্রযোজ্য। 

তীর্থ ভ্রমনের টিম লিডার নটবরণ দেওয়ান জানান, শান্তির পথে তীর্থ ভ্রমণ সকলের জন্য মঙ্গলকর। ধর্মের বাণী, ইতিহাস ও চর্চার জন্য তীর্থ ভ্রমণের মধ্য দিয়ে অনেক অজানাকে জানা হবে। যা ধর্ম গুরু থেকে মহা পুরুষদের বাণী এবং ইতিহাসের স্বাক্ষর রাখে। তাই পূর্ণার্থীদের নিয়ে তীর্থ ভ্রমণে সকলের আর্শিবাদ কামনা করেন তিনি। 

তীর্থ ভ্রমনে যাওয়ার পথে এক পূর্ণার্থী বলেন, অজানাকে জানার শেষ নেই। ধর্ম আর মহাপুরুষ,ধর্মকে জেনে আমাদের সুন্দর জীবনে পরলোকিক শান্তি নিহীত আছে। তাই বুদ্ধের ত্রিপিটক শাস্ত্র মতে জীবনকে ধারনের জন্য ধর্মীয় স্থান ভ্রমণেও পূর্ণ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রায় মাস ব্যাপী এ তীর্থ ভ্রমণ শেষে আগামী ২০ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে পূর্ণার্থীদের।