পাহাড়ে এলজিইডি’র তিন দফার টেন্ডারের কাজেও অনিয়মের অভিযোগ!


নুরুল কবির    |    ০১:১২ এএম, ২০২২-০৯-২৯

পাহাড়ে এলজিইডি’র তিন দফার টেন্ডারের কাজেও অনিয়মের অভিযোগ!

বান্দরবানের বালাঘাটা-বাঘমারা সড়কের সাইড ওয়াল নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উদ্যোগে গত ২০২১ অর্থবছরের ডিসেম্বরে টেন্ডারের মাধ্যমে প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দে বালাঘাটা-বাঘমারা সড়কের পাশে সাড়ে ৩ কিলোমিটার সাইড ওয়াল নির্মাণের কাজটি পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউটিমং।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওয়াল নির্মাণের কাজটি শুরু থেকে ইট, বালুসহ নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে করে কাজের গুণগতমান নিয়ে প্রশ্ন তোলে স্থানীয়রা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানান, কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার ফরহাদ বান্দরবান এলজিইডি’র সিনিয়র প্রকৌশলীর আস্থাভাজন হওয়ায় নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করলেও প্রতিষ্ঠান তার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) জেলা দপ্তরে যোগাযোগ করে জানা গেছে, ২০২১ সালে কাজটির টেন্ডার হলেও সমস্যার কারণ দেখিয়ে তা পুনরায় (২য় বার) টেন্ডার আহ্বান করে এলজিইডি।

কিন্তু ২য় বারের টেন্ডারেও কোনো ঠিকাদার অংশ না নেয়ায় পরের বছর ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ৩য় বারের মতো টেন্ডার আহ্বান করা হয়। তাও ৫ শতাংশ এভাব দেখিয়ে। ইউটিমং নামে একটি উপজাতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে পাওয়া কাজটি বর্তমানে চলমান থাকলেও কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে নিম্নমানের ইট ও বালু। এ ছাড়াও কিছু কিছু জায়গায় সিমেন্টের পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে পাহাড়ি কাদা মাটি।

স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজ জানান, বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার সময় আমরা শ্রমিকদের বাধা দিয়েছি। কিন্তু বাধা না শোনে দুই নম্বর ইট আর ঝিড়ির বালি ব্যবহার করা হচ্ছে কাজে। অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বান্দরবান এলজিইডি’র সহকারী প্রকৌশলী ও সদর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয় সেন জানান, প্রথম বার ঠিকাদার নিম্নমানের ইট-বালু ব্যবহার করায় তাকে সতর্ক করা হয়েছিল।

এবারেও যদি ঠিকাদার এ ধরনের কাজ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বর্তমান ঠিকাদার ফরহাদ জানান, ‘পাহাড়ি এলাকায় কাজ করতে হলে একটু সমস্যা-তো হয়, আপনারা হলেন আমাদের ভাই একটু দেখবেন’।

বান্দরবান এলজিইডি’র সিনিয়র প্রকৌশলী জামাল উদ্দিন জানান, আমার জানা মতে, কাজের মান ভালো হচ্ছে। আস্থাভাজন ঠিকাদারকে কাজ দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা ভুল ধারণা, কারণ সব ঠিকাদারকে সমান চোখে দেখি’। আর আপনারা জানেন, পাহাড়ে কাজ করা অনেক সমস্যা, তবে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।