রাজস্থলীর তিন মন্ডপে পুলিশ-আনসারের নিরাপত্তাবলয়


আজগর আলী খান    |    ১২:১৬ এএম, ২০২২-০৯-২৯

রাজস্থলীর তিন মন্ডপে পুলিশ-আনসারের নিরাপত্তাবলয়

আজগর আলী খান 

কাশফোটা ও শিউলি শরতের শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতেই রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার মন্দিরগুলোতে চলছে দূর্গা পূজার প্রস্তুতি। দেবীকে স্বাগত জানাতে পাহাড়ের সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এই দুর্গোৎসব উপলক্ষে পাহাড়ে বসবাসরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজসাজ রব। 

সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জেলা রাজস্থলীতেও সনাতনী ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে চলছে শারদীয় দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি। উপজেলার তিন টি মন্দিরে রং তুলির আচরে দেবী দূর্গাকে রাঙ্গিয়ে তুলতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। ধর্মীয় উৎসব শেষ করতে সবধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সংশ্লিষ্ট্য উপজেলা প্রশাসন।

এবারের পূজা যাতে নির্বিঘ্নে ভাবে পালন করতে পারে সেলক্ষ্যে  মন্দিরে মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে রাজস্থলী ও চন্দ্রঘোনা  থানা পুলিশ এবং আনসার কর্তৃপক্ষ।  

কাপ্তাই সার্কেলের  পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  রওশন আরা রব জানিয়েছেন, গতবছরের চেয়ে এবছর আরো নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে  পরিবেশে দূর্গোৎসব পালনে নিরাপত্তাজনিত যাবতীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে  পুলিশ প্রশাসন। তিনি জানান, প্রতিটি পূজা মন্ডপের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সাথে সর্বদায়  কথা হচ্ছে।   রাজস্থলী ও চন্দ্রঘোনা থানার উদ্বর্তন কর্মকর্তারা প্রতিটি পূজা মন্ডপ ভিজিট করে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে। এরই ধারাহিকতায় দূর্গাপূজাকে স্বার্থক করতে হিন্দু সম্প্রদায়সহ পার্বত্য রাজস্থলীতে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষজন শারদীয় প্রহর গুনছে। সবমিলিয়ে রাজস্থলীতে  ব্যাপক প্রস্তুতি  চলছে প্রতিটি পূজামন্ডপে। 

এবছর দূর্গোৎসব পালনে রাজস্থলীতে  আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন  বাঙালহালিয়া বাজার শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির  সভাপতি অজয় দাশ। তিনি জানান, আমরা উৎসবমূখর পরিবেশেই ধর্মীয় উৎসব পালন করি এ ক্ষেত্রে প্রশাসন আমাদের যথেষ্ট সহায়তা করে আসছে। পূজা পালনে প্রতি বছরের ন্যায় জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রী মহোদয় হতে এবছর ও   যথাসময়ে মন্দিরগুলোতে বিশেষ বরাদ্ধ প্রদান করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ বলেন, এবছর  ঝূকিঁপূর্ণ পূজা মন্ডপ একটি মাত্র রয়েছে। 

উৎসবপ্রেমী সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় পার্বণ এই দুর্গা পুজো। দুর্গা পূজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। গজে চড়ে দেবী দূর্গার আগমন ধ্বনি বেজে গিয়েছে পাহাড়ের  আকাশে বাতাসে। উৎসবপ্রিয় পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মাঝে শারদীয় দূর্গোৎসবের মাধ্যমে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, সম্মৃদ্ধি ও সকল সম্প্রদায়ের মাঝে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।