দুঃখ ঘুচতে চলেছে চুমাচুমি গ্রামের ৮০ পরিবারের


জুরাছড়ি প্রতিনিধি    |    ১১:৪২ পিএম, ২০২০-১০-১৫

দুঃখ ঘুচতে চলেছে চুমাচুমি গ্রামের ৮০ পরিবারের

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১শত ফুট উচ্চ পাহাড়ের নিচে বসবাস করেন দুই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চুমাচুমি গ্রামের ৮০ পরিবার। নেই কোন নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা, চৈত্রমাস আসলে অনেক দূর থেকে পানি সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হয় গৃহিনীদের। এসব কষ্ট লাঘব করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃক জিপিএস পাইপের মাধ্যমে পানির সুব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। সত্যিকার অর্থে এবার ঘরের দুয়ারে পানি পেতে যাচ্ছে এসব গৃহিনীরা।

কথা হয় উক্ত এলাকার গৃহিনী রহিনা চাকমার সঙ্গে তিনি জানান,বর্ষাকাল আসলে ছয়মাস পর্যন্ত আমাদের পানির অভাব থাকেনা, যখন “চৈত্রমাস চলে আসে তখন আমাদের কাল হয়ে দাড়াঁয়”। আমরা অনেক খুশি পানির সুব্যবস্থা হওয়াতে। এজন্য তিনি জনপ্রতিনিধিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী পূর্ণেন্দু চাকমা থেকে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে জানান, পানির সমস্যা প্রত্যেকটি জায়গায় রয়েছে। চুমাচুমি গ্রামের কাজটি যদি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা যায়, তাহলে আমাদের কাজের আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করে যাহাতে এলাকার লোকজন সুবিধা ভোগ করতে পারেন সেজন্য ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তত্বাবধানে বর্তমানে সমতল এলাকায় প্রায় প্রত্যেক গ্রামে গভীর নলকূপ থেকে নিরাপদ পানির সুব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে পাহাড়ে বসবাসকারী জুমিয়াদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।  পাহাড়ে বসবাসকারীদের চৈত্রমাস আসলে পানির সংকটে ভুগতে হয়। ভবিষ্যতে এসব এলাকায় জেলা পরিষদ তথা পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিপিএস পাইপের মাধ্যেমে পানির সুব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ রয়েছে।