‘‘পাহাড়ে মাতৃভূমি রক্ষায় প্রয়োজনে রক্ত দিবো-জীবন দেয়া লাগলে তাও দিবো’’


আলমগীর মানিক    |    ০৪:৩৩ পিএম, ২০২২-০৯-০৫

‘‘পাহাড়ে মাতৃভূমি রক্ষায় প্রয়োজনে রক্ত দিবো-জীবন দেয়া লাগলে তাও দিবো’’

আলমগীর মানিক

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বর্তমান প্রচলিত আইন বাস্তবায়ন করা হলে পাহাড়ে বসবাসরত নাগরিকদের একটি বড় অংশই তাদের ভূমির মালিকানা হারাবে। সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত পাহাড়ে নিজেদের মাতৃভূমি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়া সম্ভব নয় এবং মাতৃভূমি রক্ষার্থে প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা।

বুধবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বহুল বিতর্কিত পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের বৈঠককে কেন্দ্র করে রাঙামাটি শহরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে কাজী মুজিব বলেন, পাহাড়ে রাজা, রীতি, প্রথা, পদ্ধতি,নীতি বাতিল করতে হবে, ১৯০০ সালের হিল ট্র্যাক্টস ম্যানুয়েল আইন বাতিল করে দেশের চলমান সাংবিধানিক আইনী ব্যবস্থা পাহাড়ে চালু করতে হবে।

নতুন করে ভূমি জরিপ চালিয়ে সে মোতাবেক ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অন্য ৬১টি জেলার সাথে তাল মিলিয়ে সেগুলোর ন্যায় প্রচলিত আইন পাহাড়ে চালু করতে হবে। জুম্মল্যান্ড প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে বিভোড় থাকা পাহাড়ের কোনো গুষ্ঠিকে আদিবাসী স্বীকৃতি দেওয়া যাবেনা। এই আদিবাসী স্বীকৃতি পাওয়ার মধ্যে আলাদা একটি শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, পাহাড়ে আজকের দিনে সশস্ত্র তৎপরতা যারা চালিয়ে যাচ্ছে; তাদের দ্বারা শুধু বাঙ্গালী সম্প্রদায় নয়, প্রত্যন্ত এলাকার সাধারণ উপজাতীয়রাও অপহরণ, ধর্ষিত, গুম-খুনের শিকার হচ্ছে। 

এমতাবস্থায় পাহাড়ের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা পার্বত্য নাগরিক পরিষদের অঙ্গীকার। এটা আমাদের মাতৃভূমি রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের। ভূমি কমিশনের বর্তমান আইন বাস্তবায়িত হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের একটি বিশাল অংশ তাদের ভূমি হারাবে। এমতাবস্থায় মাতৃভূমি রক্ষায় প্রয়োজনে রক্ত দিবো, জীবন দিতে হলে তাও দিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিদ পরিষদের নেতাকর্মীরা বদ্ধপরিকর বলেও মন্তব্য করেছেন কাজী মুজিব। 

রাঙামাটি শহরের বনরূপাস্থ একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে,পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম,  যুগ্ম-সম্পাদক  রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এসএম মাসুম রানা, রাঙামাটি জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক,  সাংগঠনিক সম্পাদক লাভলী আক্তারসহ রাঙামাটি জেলা কমর্রত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্টনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।