নৌ-বাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদোন্নতি পেয়েছেন বিএফডিসি’র সাবেক ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান


আলমগীর মানিক    |    ০৫:২০ এএম, ২০২২-০৮-৩০

নৌ-বাহিনীতে ক্যাপ্টেন পদোন্নতি পেয়েছেন বিএফডিসি’র সাবেক ব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের সাবেক সফল ব্যবস্থাপক বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর চৌকস কর্মকর্তা কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান-এএফডব্লিউ,পিএসসি,বিএন, পদোন্নতি পেয়েছেন। সোমবার ২৯ই আগষ্ট বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমান্ডার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান-এএফডব্লিউ,পিএসসি,বিএন এর পদোন্নতির মাধ্যমে তাকে ক্যাপ্টেন পদমর্যাদা প্রদান করা হয়েছে।

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান-এএফডব্লিউ,পিএসসি,বিএন। তিনি ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে বিএফডিসি’রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। 

বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর এই চৌকস কর্মকর্তা ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত। তার স্ত্রী সালমা বেগম স্বনামধন্য একটি ইংরেজি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত রয়েছে। সুশিক্ষিত এই দম্পতি এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের গর্বিত পিতা-মাতা। মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে চাকুরী প্রাপ্ত হন ১৯৯৫ সালে। লক্ষীপুর জেলার রামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করলেও শৈশব কেটেছে চট্টগ্রাম শহরেই। কমান্ডার থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর পক্ষ থেকে পূর্নাঙ্গ ক্যাপ্টেন র‌্যাংঙ্ক ব্যাজ পরানো হবে মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে। 

প্রসঙ্গত: এশিয়া বিখ্যাত কৃত্রিম জলাধার তথা দেশে মিঠা পানির মাছের অন্যতম উৎস্য রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি জেলার কিছু অংশের বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন জীবিকার অন্যতম উৎস্য এবং দেশের পুষ্টি চাহিদা পুরণের অন্যতম উৎস্যভূমি কাপ্তাই হ্রদ। এই হ্রদের মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পক্ষে কাপ্তাই হ্রদ উপ-কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক হিসেবে প্রেষণে কর্মরত থাকা অবস্থায় নানামুখী সংস্কার উদ্যোগ এবং ইনোভেটিভ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

অর্ধশতাব্দী পর হ্রদ ঘিরে তিনি রাঙামাটির ব্যবসায়ী, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং খেটে খাওয়া জেলেদের সামনে নব দীগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছিলেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে হ্রদ থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত বে-আইনী ‘জাঁক’ অপসারণ এবং বিএফডিসি’র নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হ্রদেরই একটি অংশকে হ্যাচারী হিসেবে ব্যবহার করে পোনা উৎপাদন করে তা হ্রদে অবমুক্ত করার কারণে এই হ্রদের মৎস্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় নতুন গতির সঞ্চার হয়েছে।

রাঙামাটি থেকে যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি সর্বশেষ প্যানকালচারের উপর গবেষণার মাধ্যমে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন। সেটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সারাদেশের বর্তমান মৎস্য চাহিদার ৯০ শতাংশ এই হ্রদ থেকেই যোগান দেওয়া সম্ভব। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই চৌকস কর্মকর্তার সময়োপযোগি সিদ্ধান্তে মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করার কারণে হ্রদের মৎস্য সম্পদ থেকে যেমন সরকারি রাজস্ব আদায়ের হার প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি হ্রদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।