আলমগীর মানিক | ০২:২৭ পিএম, ২০২২-০৮-২৩
আলমগীর মানিক
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে চলতি মাসের ১৮ তারিখ থেকে মৎস্য আহরণ ও বিপনন শুরু হওয়ার পর থেকেই এক শ্রেণীর অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ি কর্তৃক বিক্রয় নিষিদ্ধ পোনা মাছ আহরণ করে বাজারে বিক্রয় করা হচ্ছে। বাংলাদেশ মৎস্য সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৫০ সংশোধিত-২০১৩ অনুসারে কাপ্তাই হ্রদে ২৩ সেন্টিমিটার তথা ৯ ইঞ্চির কম সাইজের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ঘনিয়া ও আইড় মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহণ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এই নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু চক্র প্রতিনিয়তই সংশ্লিষ্ট্য প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে কাপ্তাই হ্রদ থেকে পোনা মাছ আহরণ করে বিভিন্ন হাট-বাজারে গোপনে বিক্রি করে আসলেও স্বল্প জনবলের কারনে তদারকি সংস্থা বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ এসব অসাধু ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটকে পুরোপুরো কজ¦ায় আনতে হিমশিম খাচ্ছে। ইতোমধ্যেই রাঙামাটির বিভিন্ন বাজারে ঝটিকা অভিযানও পরিচালনা করেছে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএফডিসি রাঙামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লে.কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা সারাবছরই কাপ্তাই হ্রদে ২৩ সেন্টিমিটারের নীচে কার্প জাতীয় মাছ আহরণ ও বিপনন সম্পূর্নরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। কিন্তু তারপরও একটি অসাধু চক্র এসব অপকর্মগুলো করছে। আমরা যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখাইে অভিযান পরিচালনা করে মাছগুলো জব্দ করছি এবং জরিমানা করছি। তিনি বলেন, আসলে বিএফডিসি’র মতো একটি সংস্থার এতোবড় কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অনেকটা কঠিন ব্যাপার।
কাপ্তাই হ্রদের সাথে জীবন-জীবিকা ওতঃপোতঃ ভাবে জড়িত তাদের নিজস্ব সচেতনতামূলক প্রচেষ্ঠা ছাড়া আমরা কতটুকুই বা সফলতা পাবো। তাই বিভিন্নভাবে সভাম উঠান বৈঠক করে আমরা মানুষজনের মাঝে সচেতনতাবৃদ্ধির চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও আমাদের বিএফডিসির লোকজনের মাধ্যমে রাঙামাটির বাজারগুলোতে মৎস্য ব্যবসায়িদের পোনা মাছ বিক্রি না করতে বার্তা পৌছাচ্ছি।
ইতিমধ্যেই আমরা রাঙামাটির বাজারগুলোতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছি এবং বাজারের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টগুলোতে লিফলেট লাগিয়েছি। যাতে করে মানুষের মাঝে সচেতনতাবৃদ্ধি পায়।
এদিকে বিএফডিসি কর্তৃক বিতরণকৃত প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়, মৎস্য ব্যবসায়ি, আড়তদার, খুচরা ও পাইকারি মাছ বিক্রেতাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মৎস্য সংরক্ষণ বিধিমালা ১৯৫০(সংশোধিত-২০১৩) অনুসারে ২৩ সেন্টিমিটারের(৯ ইঞ্চি) চেয়ে ছোট সাইজের রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউশ, ঘনিয়া ও আইড় মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহণ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞা যদি কেহ অমান্য করে তবে এক বছর বা অনধিক দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দন্ডে বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
গোলামুর রহমান-লংগদু : পাহাড়ী বাঙ্গালী অয পাড়ার ছাত্র ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আইসিটিতে পারদর্শী এবং ডিজিটাল মিডিয়া সম্...বিস্তারিত
বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েট এর অন্তর্ভুক্ত আস্থা প্রকল্পের ইয়ুথ গ...বিস্তারিত
স্মৃতিবিন্দু চাকমা : পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জুরাছড়ি উপজেলায় দরিদ্র জেলেদে...বিস্তারিত
আলমগীর মানিক : আলমগীর মানিক আগামী ৮ই মে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে নি...বিস্তারিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ৪নং ভূষণছড়া ইউনিয়নের ১৪৯নং গুইচড়ি মৌজার চান্দবী ঘাট পাড়ায় প্রত্যন...বিস্তারিত
নুরুল কবির : ক্ষমতাসীনরা সিন্ডিকেট করে বাজারের দ্রব্যের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিট...বিস্তারিত
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © 2024 CHTtimes24 | Developed By Muktodhara Technology Limited